এইবেলা, কুলাউড়া ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ভাটেরা ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের কিশোর সলমান (১৫) হত্যাকান্ডের মুলহোতা তোরাব খান (৫০) কে ২৪ জুন বুধবার ভোরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তীর নিরলস প্রচেষ্টায় হত্যাকান্ডের ৬দিন পর ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়।
ঘাতক তোরাব আলীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে জগতপুর গ্রামের মো: সাহাদ মিয়ার ছেলে সালমান আহমদের লাশ নিখোঁজের একদিন পর গত ১৮ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে টিলার ওপর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সলমানের মা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ১৭ জুন বুধবার দুপুরে মায়ের কথায় বাড়ির পেছনের টিলায় রান্নার জন্য শুকনো কাঠ আনতে যায় সলমান। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরদিন তার লাশ টিলায় পড়ে থাকতে দেখেন বাড়ির লোকজন।
স্থানীয় সুত্র জানায়, জগতপুরের পাশের গ্রাম ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সিংহনাদ গ্রামের বাসিন্দা মৃত সুজন খানের পুত্র তোরাব খান লাঠি দিয়ে নাকে ও মাথায় একাধিক আঘাত করলে মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে সলমান আহমদ। ঘটনার পর তোরাব খান ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। বাগানের কাঠাল চুরির অপরাধে তোরাব খান লাঠি নিয়ে হামলা চালায় সলমানের উপর।
নিহত সলমানের চাচা আব্দুল আহাদ, বড়ভাই রুহান, মামা সিদ্দিকুর রহমান ঘাতকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চান। তোরাব খান হিংস্র প্রকৃতির মানুষ বলে জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, হত্যাকান্ডের পর এলাকায় পুলিশী তদন্ত জোরদার করা হয়। তদন্তে নিশ্চিত হয়ে তেরাব খানকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।#
Leave a Reply