নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) :: নওগাঁর আত্রাইয়ের ঐতিহ্যবাহী আহসানগঞ্জ রেলওয়ে প্লাটফরম এখন মাছ বিক্রেতাদের দখলে। সেই সকাল থেকে রাতের প্রথম প্রহর পর্যন্ত চলছে মাছ বিক্রি। এতে করে ট্রেন যাত্রীদের ট্রেনে উঠা-নামা ব্যাপক ভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শত শত ট্রেন যাত্রী।
নওগাঁ জেলার একমাত্র মানসম্পন্ন রেলওয়ে স্টেশন আহসানগঞ্জ। ঢাকা-চিলাহাটি, চিলাহাটি – খুলনা, চিলাহাটি – রাজশাহী এবং ঢাকা- পঞ্চগড়ের মধ্যে চলাচলকারি বেশ কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনসহ সকল মেইল ট্রেনের স্টপেজ রয়েছে এ স্টেশনে। ফলে প্রতিদিন শত শত যাত্রী এ স্টেশন থেকে ট্রেনযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন। সরকার এসব ট্রেন যাত্রীদের নিকট থেকে মোটা অংকের রাজস্ব আয় করলেও যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধিতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত এ স্টেশন। এখানকার রেলওয়ে প্লাটফরমে যাত্রীদের বসার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। পর্যাপ্ত পরিমান লাইটিং ব্যবস্থা না থাকায় রাতের বেলা ট্রেন যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। এ ছাড়াও প্লাটফরম জুড়ে বিভিন্ন দোকানপাট, কাঁচা মালের দোকান ও মাছের দোকানের কারনে যাত্রীদের অস্বস্তি করে তুলেছে। বিশেষ করে রাতের বেলা আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস ও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন।
এদিকে প্লাটফরমের একেবারে প্রবেশ মুখ দখল করে রেখেছে মাছ বিক্রেতারা। টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে প্লাটফরমে যেতেই মাছের দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অতিষ্ঠ যাত্রীরা। রেললাইন ঘেষে প্লাটফরমে মাছের দোকান বসায় যাত্রীদের ট্রেনে উঠা-নামা করতে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়।
ট্রেন যাত্রী সালমান সোহেল বলেন, প্রতিনিয়িত আমি এ স্টেশন থেকে ট্রেনে যাতায়াত করে থাকি। আত্রাই রেলওয়ে প্লাটফরমে বিভিন্ন দোকানপাটের কারনে আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ট্রেন যাত্রী নার্গিস বেগম বলেন, প্লাটফরমে বিভিন্ন দোকান বসায় বিষেশ করে প্লাটফরমের একেবারে ধারে ও প্রবেশ মুখে মাছের দোকানের কারনে আমাদের ট্রেনে উঠা-নামা খুব বিপদজনক হয়। আমরা মহিলা মানুষ শিশু বাচ্চাদের নিয়ে ট্রেনে উঠা-নামা নির্বিঘ্ন করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ছাইফুল ইসলাম বলেন, একাধিকবার নিষেধ করার পরও তারা আমাদের নিষেধ উপেক্ষা করে প্লাটফরমে দোকান দেয়। এ স্টেশনে নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী না থাকায় আমরা আইন প্রয়োগ করে তাদের নিবৃত করতে পারছি না।
Leave a Reply