নামের মিল থাকায় জুড়ীতে নিহত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সাজার অপচেষ্টায় লিপ্ত এক মহিলা ! নামের মিল থাকায় জুড়ীতে নিহত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সাজার অপচেষ্টায় লিপ্ত এক মহিলা ! – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নিউইয়র্কে দিদারুল ইসলামের পরিবারের সাক্ষাৎ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ১৮ নভেম্বর ক্যানভাসে ভিন্ন ভিন্ন গল্পে দলীয় প্রদর্শনী সম্পন্ন সিলেটে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি দৈনিক শ্যামল সিলেটের বার্তা সম্পাদকের মৃত্যুতে ছাতকে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের শোক কুলাউড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা ভূরুঙ্গামারীতে ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারি আটক উলিপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা বড়লেখা সীমান্তে পরিত্যক্ত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার কমলগঞ্জে চা-শ্রমিক সংঘের সভা :  দুর্গাপূজায় ন্যায্য বোনাস প্রদানসহ মজুরির দাবি

নামের মিল থাকায় জুড়ীতে নিহত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সাজার অপচেষ্টায় লিপ্ত এক মহিলা !

  • রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১

বড়লেখা প্রতিনিধি :

জুড়ী উপজেলার প্রয়াত এক মুক্তিযোদ্ধার নামের সাথে মিল থাকায় কমলগঞ্জের এক মহিলা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী দাবী করে ভাতাভুক্তির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পিতার ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা নম্বরটি ওই মহিলার স্বামীর বলে দাবী করায় ভাতাভোগী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মাহবুব আলম রওশন ওই মহিলার জাল সনদ তৈরীর চেষ্টার ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

জানা গেছে, জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের বিরইনতলা গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা সফিক মিয়া ১৯৮০ সালের ২ সেপ্টেম্বর মারা যান। ২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সফিক মিয়ার স্ত্রী জোবেদা বেগম জমিলা অবগত হন কেবল ভারতীয় তালিকা এবং লাল মুক্তিবার্তায় যাদের নাম রয়েছে তারাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বিবেচিত হবেন। তখন তিনি স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা অর্ন্তভুক্তির আবেদন করেন। দীর্ঘ ৪ বছর যাচাই বাছাইপূর্বক ২০১৮ সালে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর তাকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে এবং তিনি ভাতাভোগী হন। অতপর তিনি মৃত্যুবরণ করলে তার একমাত্র উত্তরাধিকারী (ছেলে) ফুলতলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুব আলম রওশন অদ্যাবধি ভাতা ভোগ করছেন।

এদিকে ২০০৭ সালের জুলাই থেকে মুক্তিযোদ্ধা শফিক মিয়ার ভাতা উত্তোলন করছেন স্ত্রী কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের আজিরুন বেগম। সম্প্রতি সরকারি সিদ্ধান্তে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তদের স্ব জেলা-উপজেলায় যাচাই বাছাই শুরু হলে বিপাকে পড়েন আজিরুন বেগম। তখন তিনি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে যোগাযোগ করে ভারতীয় তালিকায় নাম থাকা জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউপির মুক্তিযোদ্ধা সফিক মিয়ার ভারতীয় তালিকার ২২৩ পৃষ্টায় থাকা ২৭৮২০ নম্বরটি তার স্বামীর নম্বর বলে দাবী করছেন।

মাহবুব আলম রওশন জানান, আজিবুন নেছার দাবীকৃত মুক্তিযোদ্ধা নম্বরটি তার পিতার নম্বর। ২০১৪ সালে তার মা আবেদন করে যথাযথ যাচাই-বাছাই শেষে ২০১৮ সালে তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অর্ন্তভুক্ত ও ভাতাভুক্ত হন। এটি বর্তমানে অনলাইনে রয়েছে। ওই মহিলাতো ২০০৭ সাল থেকে ভাতা পাচ্ছেন। যথানিয়মে তালিকায় অর্ন্তভুক্ত ও ভাতাভুক্ত না হওয়ায় সম্প্রতি তার ভাতা বাতিল হয়ে গেছে। কোন উপায় না দেখে নামের মিল থাকায় এখন তিনি আমার বাবার মুক্তিযোদ্ধা নম্বর নিজের স্বামীর দাবী করে জাল কাগজপত্র তৈরীর মাধ্যমে ভাতা পুনর্বহালের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এব্যাপারে বৃহস্পতিবার তিনি জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে কমলগঞ্জের কালেঙ্গা গ্রামের আজিরুন বেগমের মুটোফোনে জানতে চাইলে তার ছেলে পরিচয়ে কামাল মিয়া জানান, আমরা ২০০৫ সাল থেকে ১০৬১ নং গেজেট দিয়ে আমার পিতার ভাতা ভোগ করছি। আমরা এমআইএস করতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পেরেছি।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!