নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি::
গত রোজার ঈদের পর থেকেই সীমান্তবর্তী নওগাঁ জেলায় বেড়েছে করোনার সংক্রমণ । একই সাথে বেড়েছে জ্বর, সর্দি কাঁশিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও ।
আত্রাই ওষুধের দোকান থেকে হঠাৎ করে প্যারাসিটামল গ্রুপের ‘নাপা’ ট্যাবলেট উধাও হয়ে গেছে। প্রচুর ব্যবহৃত এ ওষুধটি পাওয়া না যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মানুষ।
উপজেলার ফার্মেসির গুলোতে ঘুরে পাওয়া যাচ্ছে না অতি-পরিচিত ‘নাপা’ ট্যাবলেট। এদিকে সম্প্রতি উপজেলার প্রায় ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকের কাছে গেলেই পরামর্শ দিচ্ছেন প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবনের। সাথে অনেকের শরীর ব্যথা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অনেক দোকানে নাপা তো পাওয়া যাচ্ছেই না।
ওষুধের প্রয়োজনে প্রতিদিন ফার্মেসিগুলোতে আনাগোনা রোগী ও স্বজনদের। ভাইরাস জ্বরের মৌসুম হওয়ায় এই সময়ে বিক্রিও থাকে বেশ। কিছুদিন ধরে জ্বর সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে এই অঞ্চলে। আর চিকিৎসাকের কাছে গেলেই পরামর্শ দিচ্ছেন প্যারাসিটামল জাতীয় ওষধ সেবনের। তবে ফার্মেসিগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না নাপা ট্যাবলেটের ।
ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েকদিন সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যাথার ওষধ বিক্রয় হয়েছে স্বাভাবিকের চাইতে কয়েকগুণ বেশি। এদিকে কোম্পানি থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাজারে ‘নাপা’ ট্যাবলেটের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। একই গোত্রের অন্য ওষুধ থাকলেও রোগীদের শুধু নাপা ট্যাবলেটেরই চাহিদা। করোনার সময় প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধের বিক্রি বেড়ে যায়। এছাড়াও কিছু লোক দরকারের চেয়ে বেশি ওষুধ কিনে ঘরে রেখে দেওয়ার ফলে এ সংকট দেখা দিয়েছে।
এ সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
শুধু একটি কোম্পানির মেডিসিনে না ঝুঁকে অন্য কোম্পানির একই গোত্রের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
এ বিষয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের আত্রাই উপজেলা প্রতিনিধি মো. রাজু জানান, কাঁচামাল সঙ্কটে ‘নাপা’ ট্যাবলেটের উৎপাদন কমে গেছে। এ কারণে অর্ডার নেওয়া সাময়িক বন্ধ আছে। তবে প্যারাসিটামল গ্রুপের ‘নাপা সিরাপ’; ‘নাপা এক্সট্রা’; ‘নাপা এক্সটেন্ড’ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। শিগগিরই ‘নাপা’ ট্যাবলেটের সঙ্কট কেটে যাবে।
এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রোখছানা হ্যাপি বলেন, ‘শুনেছি বাজারে প্যারাসিটামল গ্রুপের ‘নাপা’ ট্যাবলেট পাওয়া যাচ্ছে না। করোনা মহামারিতে এ জাতীয় ওষুধের ব্যবহার বেড়ে গেছে। তবে বাজারে প্যারাসিটামল গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধের কোনো সঙ্কট নাই।’#
Leave a Reply