আত্রাইয়ে ক্রেতাশূন্য বাজারে অলস সময় কাটছে দোকানিদের আত্রাইয়ে ক্রেতাশূন্য বাজারে অলস সময় কাটছে দোকানিদের – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্থানীয় সরকারের সার্কেল পঞ্চায়েত ও সরপঞ্চ বিষয়ক স্মারকগ্রন্থ কালের অভিজ্ঞান’র মোড়ক উন্মোচন  বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার’- আলো ছড়াচ্ছে জাতীয়ভাবে – সোয়েব আহমেদ কমলগঞ্জের মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮ তম বার্ষিকী পালিত কুলাউড়ায় নিখোঁজের ২দিন পর স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার কুলাউড়ায় সরকারি রাস্তা বিলীনের অভিযোগ কমলগঞ্জের মাগুরছড়া বিস্ফোরণের ২৮ বছর আজ বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক ইউএইচএফপিও ডা. রত্নদীপ বিশ্বাসের পিতৃবিয়োগ বড়লেখা সীমান্তে আরো ১৩ জনকে পুশইন করল বিএসএফ বড়লেখার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপি বিএনপির কাউন্সিল : ৫ পদে নির্বাচিত হলেন যারা কমলগঞ্জের মুন্সীবাজারের রুপসপুর রাস্তাটি জরাজীর্ণ : পাকাকরণের দাবী এলাকাবাসীর

আত্রাইয়ে ক্রেতাশূন্য বাজারে অলস সময় কাটছে দোকানিদের

  • সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি ::

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে দোকানিদের সাধারণত সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা দম ফেলানোর ফুরসত থাকে না নিত্যপণ্যের দোকানিদের। তপ্ত দুপুরে অনেক দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকে। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা একটু বিশ্রামের সুযোগ পান। কিন্তু সরকারঘোষিত লকডাউনের চতুর্থ দিনে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। বেলা ১০টার দিকেও অনেক দোকানে দেখা নেই ক্রেতার। অন্যান্য দিনগুলোতে এই সময়ে যখন তাদের ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার হয়, আজ সেই সময়ে ক্রেতাদের জন্য চেয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। উপজেলার বেশ কয়েকটি হাট-বাজার ঘুরে এমন ক্রেতাশূন্য অবস্থা দেখা গেছে।

কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন শুরুর আগে অনেকে বেশি করে বাজার করেছেন। যার ফলে এখন বাজার খোলা থাকলেও অতিরিক্ত বাজার মজুদ করার কারণে এখন আর তাদের বাজারে আসতে হচ্ছে না। আর তাই ক্রেতাশুন্য বাজারে সবজি, মাছ, মাংসের দোকানে অলস সময় কাটছে দোকানিদের।

উপজেলার ভবানীপুর মাছবাজারের মাছ বিক্রেতা অসিত হালদার বলেন, লকডাউন ঘোষণার আগে আমাদের বেঁচা-বিক্রি স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষণার করার পর এখন মাছ কিনে বিপদে পড়তে হচ্ছে। আমরা বসে থাকি কিন্তু মাছ কেনার মানুষ নাই।

ক্রেতা না থাকার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, লকডাউনের ঘোষণা শুনে অনেকে বেশি বেশি করে বাজার করেছে। সবাই মাছ-মাংস কিনে ফ্রিজে রেখেছেন। এখন বাজারে লোক নেই। আগে এই সময়ে অনেক ব্যস্ত সময় কাটতো কিন্তু এখন ক্রেতাই নেই। কেনা দামেও মাছ বিক্রি করতে পারছি না।

আনাম সরদার তার দোকানে রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, সিলভারকাপের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। রুই বিক্রি করছেন ২০০ টাকা, কাতল বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি।

আনাম সরদার জানান, আগের চেয়ে মাছ বর্তমানে কম দামে বিক্রি করছেন তিনি। তারপরেও ক্রেতা না থাকার কারণে মাছ বিক্রি করতে পারছেন না তিনি।

এছাড়া এই বাজারে গরুর মাংস প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা। ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৬০, লাল কক মুরগি ২০০ এবং সাদা রঙের দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩২০ টাকা করে।

সবজির বাজারও অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, কচুর লতি ৪৫ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শশা প্রতি কেজি ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেবু ৩০ টাকা হালি এবং কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews