জুড়ী প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক স্থাপনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক।
০৯ (আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জুড়ী উপজেলায় সাফারি পার্ক হলে বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ আরো সুরক্ষিত থাকবে, এলাকার মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে।নিয়মতান্ত্রিকভাবে জনসাধারণের চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাফারি পার্ক আছে, সেগুলোর কারনে পরিবেশ তার ভারসাম্য পাচ্ছে। জীববৈচিত্র্যের রক্ষণাবেক্ষণ, প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের বেড়ে ওঠার জন্য সাফারি পার্ক অপরিহার্য।
আমাদের কিছু পরিবেশবিদ নাকি এই সাফারি পার্ক হলে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার কথা বলেছেন। আমি তাঁদের অনুরোধ করবো আপনারা সরেজমিন এসে এব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করুন। আমি ব্যক্তিগতভাবে পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেমী। আমি দেশে অনেক প্রাকৃতিক বাগান করেছি। বিদেশেও আমার বাড়ির পরিবেশকে আমি প্রাকৃতিকভাবে সাজিয়েছি। সুতরাং পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু হলে আমি নিজেই এর বিরোধিতা করতাম।তিনি আরও বলেন,আমি মনে করি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোন কুচক্রিমহলের ইন্ধনে এই বঙ্গবন্ধু সাফারিপার্কের বিরোধিতা করা হচ্ছে। দেশের সীমান্তবর্তী এই সাফারি পার্ক হলে কার এমন স্বার্থ বাধাগ্রস্ত হয়। এটা খতিয়ে দেখার জন্য আমি সরকারকে অনুরোধ জানাই।
জুড়ী উপজেলার এই ঐতিহাসিক উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া সাফারি পার্কের বিরোধিতা করে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন এবং এর প্রতিবেদকের মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের ও নিন্দা জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রনজিতা শর্মা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও ফুলতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুক আহমদ, জায়ফর নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, গোয়াল বাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অটল কৃষাণ সিংহ শিবেন,উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শেখরুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।#
Leave a Reply