জুড়ী প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ট্রাফিক সদস্য কর্তৃক হয়রানির অভিযোগ এনে সড়ক অবরোধ করেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১ টা থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা জুড়ী-বড়লেখা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন তারা। পরে কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাউছার দস্তগীর ও জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সড়ক অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে জুড়ী নাইট চৌমুহনীতে সিএনজি অটোরিকশা গাড়ির চেকিং শুরু করেন মৌলভীবাজারের টিআই মোহাম্মদ উল্লাহ। সে সময় তিনি ৮ টি সিএনজিতে মামলা দিয়ে সেগুলো জব্দ করে। অন্যান্যভাবে এসকল সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করার প্রতিবাদে চালকরা জুড়ী -বড়লেখা সড়ক অবরোধ করে রাখে।
জুড়ী ক্যাম্প চত্বর সিএনজি স্ট্যান্ডের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালে মৌলভীবাজার থেকে ট্রাফিক পুলিশের টিআই মোহাম্মদ উল্লাহ ও এসআই কুতুব উদ্দিন স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলো চেক করে মামলা দিয়ে জব্দ করে থানায় নিয়ে যান। তবে যারা টাকা দিচ্ছে তার গাড়ি তারা ছেড়ে দিচ্ছেন। ট্রাফিক পুলিশের এ অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে আমরা অবরোধ করেছি।’
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, আমরা সকালে জুড়ী চৌমোহনাতে কাগজ বিহীন গাড়ি আটক করি। অনেক গাড়ির কাগজ ২০১২-১৩ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ। কয়েকটা গাড়ি জব্দ করার পর তারা রাস্তা অবরোধ করে রাখে।
দুপুর ১ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত জুড়ী থানায় কুলাউড়া সার্কেল সাদেক কাউছার দস্তগীর, জুড়ী থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ উল্লাহর সাথে সিএনজি চালকদের বৈঠকে যে সকল গাড়িতে মামলা দেওয়া হয়েছে তার তিনভাগের এক ভাগ জরিমানা আদায় সাপেক্ষে সমবোঝা হয়।#
Leave a Reply