কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ::
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের নাগেশ্বরী থেকে কচাকাটা সড়ক ও জনপদের রাস্তায় সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্রীজ বন্ধ করে গড়ে উঠছে বসত বাড়ী। বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের লুচনী গ্রামের পাকা রাস্তায় চলতি অর্থ বছরে ব্রীজটির কাজ শেষ হয়।
সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন ব্রীজটি নির্মান করা হয়। বর্তমানে ব্রীজের নিচ দিয়ে পানি নেমে যাওয়া রাস্তা বন্ধ করে বসতবাড়ী করেছেন কয়েকটি পরিবার ।
স্থানীয়রা জানায় বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হলে ক্ষতি হবে এলাকার শতশত কৃষকের ফসলী জমি ও বসত ভিটা। এ বিষয়ে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা আরও বলেন সরকারের ইঞ্জিনিয়ার এলাকা পরিদর্শন করে এখানে একটি ব্রীজের প্রয়োজনীয়তা দেখেই এখানে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি ব্রীজ নির্মাণ করেছে।
ভবিষ্যতে এখানে বর্ষার মৌসুমে দুধকুমার নদীর পানিতে বসত বাড়ী ভেঙ্গে গিয়ে কুড়া পরার সম্ভাবনা রয়েছে । ব্রীজের কাজ শেষ না হতেই ব্রীজের সামনে ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট করে বসত বাড়ী গড়ে তোলেন স্থানীয় আব্দুল খালেক, নাসির মিয়া, এছাড়াও ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট করে বাড়ী করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কাবিল ও খালেক ব্যাপারী।
শুধু তাই নয় অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে চরা দামে বিক্রি করেছে স্থানীয় অসৎ ব্যবসায়ী আতাউর ও নমবুল মিয়া।
এতে করে চারটি ইউনিয়ন বামনডাঙ্গা, কচাকাটা, কেদার ও বল্লভেরখাষের অর্ধলক্ষ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সহজ মাধ্যমের লুচনির নবনির্মিত ব্রীজটি ভেস্তে যেতে বসেছে।
সরকারের অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের অবহেলায় প্রান্তিক জনগষ্টির জন্য কোন কাজেই না আসার আসংকা প্রকাশ করছেন স্থানীয় জনগণ।
এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমার বলার কোন এখতিয়ার নেই।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আওতায়। পরে যোগাযোগ করা হলে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহমেদ মাছুম বলেন, ব্রীজটি সম্পর্কে আমার জানা নেই, তবে খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
Leave a Reply