বড়লেখা প্রতিনিধি
জুড়ী উপজেলার ঘরেরগাঁও গ্রামে একটি জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে মৌলভীবাজার গোয়েন্দা পুলিশ জুড়ী, বড়লেখা, কুলাউড়া ও বিয়ানীবাজার উপজেলার ১৯ জন পেশাদার জুয়াড়ীকে গ্রেফতার করেছে। এসময় জুয়া খেলার ব্যাপক সরঞ্জাম ও নগদ ১৫,৫৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ডিবি পুলিশের এসআই জুনেদ আহমেদের নেতৃত্বে একদল গোয়েন্দা পুলিশ এই অভিযান চালিয়েছে। এব্যাপারে জুড়ী থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আব্দুল করিম (৫৬), মাসুদ মিয়া (৪৪), মো. অলিক মিয়া (৩৮), মো. রফিক মিয়া (৪০), আলাল মিয়া (৪২), রানু বিশ্বাস (৪৫), প্রতাপ বিশ্বাস (৩৫), অবিনাশ বিশ্বাস (২৭), সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস (৩৯), টিটু লাল দাস (২৭), সুভাষ দাস (৪৬), সৈয়দ হোসেন (৩২), বশর আলী (৩২), শুনু মিয়া (৩৫), ফয়েজ আহমদ (৪৪), মো. ফারুক মিয়া (৪৪), মো. মুছা খান (৩৮), আলম মিয়া (৩১) ও মো. মসুদ মিয়া (৫১)।
জানা গেছে, মৌলভীবাজার ডিবি পুলিশের এসআই জুনেদ আহমদের নেতৃত্বে জুড়ী থানাধীন এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার, বিশেষ অভিযান ও ওয়ারেন্ট তামিল ডিউটিতে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় ঘরেরগাঁও গ্রামের আব্দুল জব্বারের নির্মাণাধীন পাঁকা বিল্ডিংয়ের বসত ঘরের দক্ষিন-পশ্চিম পাশের একটি কক্ষে কতিপয় ব্যক্তি টাকা দিয়ে জুয়া খেলছে এবং সেখানে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী রয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৪-৫ জন জুয়াড়ী আসর থেকে পালিয়ে গেলেও পুলিশ ১৯ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় জুয়ার আসর থেকে পুলিশ ইসকা, রুইতন, ছিরতন, অরতন, জান্ডি ও মুন্ডার ছবিসহ একটি জুয়া খেলার বোর্ড, ৬টি জান্ডি-মুন্ডা খেলার গুটি, একটি জুয়া খেলার পট এবং জুয়ার বোর্ডের নগদ ১৫,৫৪০ টাকা জব্দ করে।
ডিবি পুলিশের এসআই জুনেদ আহমেদ জানান, ধৃৃত ও পলাতক আসামীরা মিলে জান্ডি-মুন্ডার মাধ্যমে জুয়া খেলে ১৮৬৭ সনের প্রকাশ্য জুয়া আইনের ৩/৪ ধারার অপরাধ করেছে। এব্যাপারে বুধবার তিনি বাদী হয়ে জুড়ী থানায় মামলা দায়ের এবং ধৃত ১৯ আসামীকে আদালতে সোপর্দ করেছেন। পলাতক আসামীদেরও গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
Leave a Reply