আজিজুল ইসলাম :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর ১টা ও বিকেল ৫টায় দু’দফা ঘুর্ণিঝড়ে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঝড়ের কবলে পড়ে ৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও ঝড়ে গাছ ভেঙে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলার রাউৎগাঁও, কুলাউড়া সদর, টিলাগাও, হাজীপুর, পৃথিমপাশা জয়চন্ডী ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রেিম বাঁশ ও টিনের তৈরি দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ঝড়ে বিধস্থ হয়। একমাত্র মাথাগোঁজার ঠাঁই ঘর ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ায় এখন খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হবে বেশিরভাগ পরিবারকে।
টিলাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালিক জানান, টিলাগাঁও ইউনিয়নের লালবাগ, আশ্রয়গ্রাম, ইছব পুর, বালিয়া, লহরাজপুর, সালামত পুর, কামাল পুর, শাহ পুুর, বিজলী, আমানী পুর, পাল্লাকান্দী, নইমপুর গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হয়। এ ছাড়াও লালবাগের বারুনি মেলা ও টিলাগাঁও ষ্টেশনের টিকিট ঘরটিও তছনছ হয়ে যায় যায়।
তিনি আরও জানান, ঘুর্ণিঝড়ের সময় লালবাগের বারুনি মেলায় গাছ পড়ে ২ জন ও টিলাগাঁও ষ্টেশনে আশ্রয় নেয়া ৩জন এই ৫ জন আহত হয়েছেন।
কুলাউড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমান জানান, আমার ইউনিয়নের ২, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ঝড়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০ টি বসত ঘরের টিনের চাল ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এসব মানুষেরা এখন খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে।
জয়চন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব মাহাবুব জানান, তাঁর এলাকার ১২ টি বসতঘরের টিনের চালা ঝড়ে উড়ে গেছে।
কুলাউড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শিমুল আলী জানান, ঝড়ে যেসব এলাকায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সেইসব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে জমা দিতে বলা হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার চেয়ারম্যানগণ মোবাইল ফোনে তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে টিলাগাঁও ইউনিয়ন। তালিকা করে পিআইও অফিসে জমা দেয়ার জন্য বলেছি। তালিকা পেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।#
Leave a Reply