এইবেলা, সিলেট :: সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন না রেজাউল হাসান লোদী (কয়েস লোদী)। বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন মহানগর বিএনপির নেতা ও ৪নং ওয়ার্ডের চারবারের নির্বাচিত এই কাউন্সিলর।
নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কয়েস লোদী জানান- দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে এ সময় কয়েস লোদী তার ওয়ার্ডবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল হাসান লোদী বলেন, ২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন ঘোষিত হওয়ার পর ২০০৩ সালের প্রথম নির্বাচন থেকে অদ্যাবধি আমি নগর ভবনে ৪নং ওয়ার্ডের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে আসছি। দীর্ঘ এই ২০ বছরে ওয়ার্ডবাসী টানা চারবার আমাকে বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছেন। সিসিকের প্রথম নির্বাচনে অল্প বয়সে মানুষ আমার প্রতি যে আস্থা আর বিশ্বাস রেখেছিলেন তা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছেন। ৪নং ওয়ার্ডবাসী আমাকে যে ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েছেন এই ঋণ আমি কোনোদিনই শোধ করতে পারব না। যত দিন বেঁচে থাকব তা আমার জন্য বাকি জীবনের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
লোদী বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও সুশাসন বলতে কিছু নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশেহারা, সাধারণ মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখনো মুক্ত নন। তিনি বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছেন না। আমাদের নেতা তারেক রহমান সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না। মানুষ নিজের ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারছেন না, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শামীম মজুমদার এমনকি সিসিকের ৪নং ওয়ার্ডের পানি শাখার কর্মচারী সাইফুর রহমান ইমনসহ নগরীর প্রায় ৪২টি ওয়ার্ডের বহুসংখ্যক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের আজ্ঞাবহ এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।#
Leave a Reply