জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: ‘আমার ভাই আব্দুল হামিদ কালা একজন ঝুঁকিপূর্ন হৃদরোগী ছিলেন। গত ২৬ জুন রাতে তিনি খুব বেশী জ্বরে আক্রান্ত হন এবং শরীরে খিচুনী ওঠে। ২৭ জুন সকালে আমার অপর ভাই ফারুক আহমেদ আমাদের বাটোয়ারাকৃত জমিতে বর্গাচাষী দিয়ে হালচাষ করাতে গেলে কালা ভাইয়ের সাথে মৌখিক বাক-বিতন্ডা হয়। তখন কালা ভাইয়ের ছেলে আপ্তাব উদ্দিন লম্বা দা নিয়ে তার চাচা ফারুক আহমেদকে কোপাতে চায়। তার এ অবস্থা দেখে তার বাবা কালার বুকের ব্যথা উঠলে তিনি সড়কে বসে পড়েন। পরে তার স্ত্রী ও কয়েকজন আত্মীয় তাকে ধরে বাড়িতে নেন। সেখানে উনার স্ত্রী ছালেহা বেগম তাকে পানি পান করালে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের মুখে শোনেছি। আমি তখন সেখানে ছিলাম না, জুড়ী শহরের বাসায় অবস্থান করছিলাম। কিন্তু আমাদের আত্মীয় নহে এমন ৪/৫ জন লোকের প্ররোচনায় আমার ভাতিজা আপ্তাব উদ্দিন তার বাবার স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যা উল্লেখ করে আমিসহ ৪ জনকে আসামী করে জুড়ী থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে।’
নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ সাগরনাল গ্রামের বাসিন্দা ও বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নে অবস্থিত ছিদ্দেক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল জলিল। সোমবার (৩১ জুলাই) বিকাল ৩টায় উপজেলা শহরস্থ এম.জেড কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য রাখেন। এ সময় ভোগতেরা গ্রামের বাসিন্দা আমেরিকা প্রবাসী মবশ্বির আলী উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন- বিগত ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট গ্রামের মুরব্বীয়ানদের সহযোগিতায় আমরা তিন ভাইয়ের যাবতীয় স্থাবর সম্পত্তি রেজিস্ট্রি বাটোয়ারানামা করে পৃথক করা হয়। তখন থেকে আমরা নিজ নিজ অংশ ভোগ-দখল করছি। আমার ভাই মৃত্যুর পর আমাদের নিকটাত্মীয়, বোন, ভগ্নিপতি ও গ্রামের সচেতন লোকজন বিষয়টি নিয়ে আমার ভাবী ছালেহা বেগম ও ভাতিজা আপ্তাব উদ্দিনকে বুঝিয়ে পোস্টমর্টেম ছাড়া লাশ দাফনের ব্যবস্থা করতে একমত হন। কিন্তু কয়েকজন লোক হিংষা ও পরশ্রীকাতরতার রোষানলে পড়ে আমি ক্ষতিগ্রস্থ ও আমার এতিম ভাতিজা গুলো আজ দিশেহারা।#
Leave a Reply