এইবেলা ডেস্ক::
মাছের শুটকি উৎপাদনে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে জুড়ীর একদল শুটকি উৎপাদনকারী গত শনিবার (২ মার্চ) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন মৎস্যখামার সফর করেছেন।
জুড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়ের আয়োজনে মৎস্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাস্তবায়নে কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ এন্ড আ্যাকুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় বিশ্বনাথ উপজেলার মাহতাবপুর, লামাকাজী শুটকি পল্লীতে এই অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর অনুষ্ঠিত হয়।
জুড়ী উপজেলার সিবিও এর নারী-পুরুষ মিলে ২০ জন মাছ চাষী এই অভিজ্ঞতা বিনিময়ে অংশ নেয়। একদল শুটকি উৎপাদনকারী মাহতাবপুর শুটকি পল্লীতে পৌছালে কর্তৃপক্ষ তাদের স্বাগতম জানান।
জুড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য অফিসার মো: শাহনেওয়াজ সিরাজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বনাথ সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার ধর, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মোঃ শফিউল্লাহ ।
জুড়ীর সিবিও সদস্যগণকে শুটকি পল্লীর কর্তৃপক্ষ তাদের বিস্তারিত কার্যক্রম তুলে ধরেন। সকল কিছু পর্যবেক্ষণ করে সদস্যবৃন্দ অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হন এবং তারা নিজেরাও ভবিষ্যতে সফল হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জেলা মৎস্য অফিসার মো: শাহনেওয়াজ সিরাজী বলেন, ‘আমরা ২০ জন শুটকি উৎপাদনকারী নিয়ে ভালোভাবে শুটকি উৎপাদনের অভিজ্ঞতা জন্য নিয়ে এসেছি। এ ধরনের অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর করে শুটকি উৎপাদনকারী খুব উপকৃত হবেন পাশাপাশি এই শুটকি পল্লী দেখে উৎপাদনকারীরা শুটকি উৎপাদন করতে আরও আগ্রহী হবে।’
বিশ্বনাথ সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার স্বপন কুমার ধর বলেন, ‘জুড়ীর শুটকি উৎপাদনকারী ২০ জন নারী ও পুরুষ মিলে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে যোগ দেন। শুটকি প্রস্তুতকারী তার নিজ খামারে শুটকি উৎপাদন বিষয়ে আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে ভালো ধারনা পেয়েছেন। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগালে মাছের শুটকি উৎপাদনে ভবিষ্যতে তাদের অনেক সফলতা আসবে।
শুটকি উৎপাদনকারী শিপন বিশ্বাস বলেন, ‘বিশ্বনাথে মাহতাপুর শুটকি পল্লী দেখে ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা চাই জুড়ীর মানুষ এরকম শুটকি পল্লী গড়ে করে সবাই স্বাবলম্বী হোক।’
Leave a Reply