কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে “মুভমেন্ট ফর পাঙ্কচুয়ালিটি” উদ্বোধন উপলক্ষে সময়নিষ্ঠা ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শওকাত আলী, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃতি সন্তান দেশবরেণ্য কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও সাংবাদিক অধ্যাপক আব্দুল হাই শিকদার, মুখ্য আলোচক ছিলেন এসএম হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন টিএমএসএস এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম।
ভূরুঙ্গামারী উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ফকরুজ্জামান জেটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুভমেন্ট ফর পাঙ্কচুয়ালিটির প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা: মেফতাউল ইসলাম মিলন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বেতার রংপুরের আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুর রহিম, শিক্ষাবিদ মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক কাজী শফিকুর রহমান, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস, সহকারী পুলিশ সুপার ভূরুঙ্গামারী সার্কেল মাসুদ রানা, ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান সরকার, সাবেক অধ্যাপক কাজী গোলাম মোস্তফা, সোনাহাট ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ বাবুল আক্তার।
“মুভমেন্ট ফর পাঙ্কচুয়ালিটি” একটি সময় সচেতনতা ভিত্তিক সামাজিক উদ্যোগ, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে—সামাজিক ও শিক্ষাগত পরিসরে সময়নিষ্ঠতা চর্চাকে উৎসাহিত করা এবং উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে সময়ের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সময়ের সদ্ব্যবহার শুধু ব্যক্তিজীবনের উন্নয়ন নয়, বরং একটি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। তারা এ উদ্যোগকে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দেন এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে এটিকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
গত ৬-৭ মাস ধরে চলমান এ আন্দোলনের আওতায় ভুরুঙ্গামারী উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে স্কুল, কলেজ ও সামাজিক সংগঠনের অংশগ্রহণে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক সভা ও কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
সম্মেলনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও সচেতন নাগরিকগণ অংশগ্রহণ করেন এবং সময়নিষ্ঠ সমাজ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বপন মাহমুদ ও মোঃ সোহেল রানা। পরে পায়রা উড়িয়ে মুভমেন্ট ফর পাঙ্কচুয়ালিটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।#
since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in
Leave a Reply