মাধবপুর হাসপাতালে বউয়ের লাশ রেখে স্বামী ও শাশুড়ির পালায়ন মাধবপুর হাসপাতালে বউয়ের লাশ রেখে স্বামী ও শাশুড়ির পালায়ন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বিশ্বকবির জন্ম জয়ন্তীতে নতুন রুপে আত্রাইয়ের রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি কমলগঞ্জ সীমান্তে দিয়ে নারী শিশুসহ ১৫ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ কমলগঞ্জে ব্রি-ধান ১০৮ চাষে সফল কৃষক মিঠু কমলগঞ্জের আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা রাজু গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে বাড়ন্ত মুরগীর বাচ্চা ও খাদ্য বিতরণ কমলগঞ্জে দূর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পতনঊষার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ চ্যাম্পিয়ন আত্রাইয়ে ভটভটি উল্টে নিহত- ১ আহত ২ ওসমানীনগরে হারভেস্টার মেশিনে অগ্নিসংযোগ বড়লেখায় ৪ সিএনজি চোর গ্রেফতার, ৩ চোরাই সিএনজি উদ্ধার কুড়িগ্রামে এবি পার্টির ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

মাধবপুর হাসপাতালে বউয়ের লাশ রেখে স্বামী ও শাশুড়ির পালায়ন

  • বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

মাধবপুর প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের মাধবপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সানজিদা আক্তার ( ১৯) নামের এক তরুণীর লাশ রেখে স্বামী ও শাশুড়ি পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ঘটনা ঘটে। মৃতের পরিবারের দাবি, হত্যা করে হাসপাতালে আনা হয়েছিল সানজিদাকে।

এর আগে রাত ৯ টার দিকে উপজেলার বহরা ইউনিয়নে সুন্দাদিল গ্রামে স্বামীর বাড়িতে সানজিদার রহস্যজনক মৃত্যু হয়।

মৃত সানজিদা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুদন্তি গ্রামের মাতু মিয়ার মেয়ে। তিনি মাধবপুর উপজেলার সুন্দাদিল গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে ওই নারীকে নিয়ে হাসপাতালে আসে স্বামী, শাশুড়িসহ কয়েকজন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সানজিদাকে মৃত ঘোষণার পর কৌশলে তারা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন সানজিদার স্বজনেরা।

মৃতের বাবা মাতু মিয়া বলেন, ‘প্রায় তিন মাস আগে পারিবারিকভাবে সানজিদার সঙ্গে মিজানুরের বিয়ে হয়। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সাধ্য মতে ফার্নিচার ও স্বর্ণ দেয়। বিয়ের তিন মাস পার হতে না হতেই আমার ফুটফুটে মেয়েটার জীবন চলে গেল। আমি এর বিচার চাই।’

এ বাবা আরও বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি নানাভাবে সানজিদাকে নির্যাতন করে আসছিল। শাশুড়ির ইচ্ছা ছিল, তার ভাইয়ের মেয়েকে মিজানের সঙ্গে বিয়ে দিবে। এটাই আমার মেয়ের জন্য কাল হয়েছে।’

মানু মিয়া বলেন, ‘কয়েকদিন আগে পরিবার থেকে মেয়েকে ও জামাইকে আলাদা করে দেওয়া হয়। পারিবারিক বিরোধের কারণে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। স্বামী, শাশুড়ি, স্বামীর বোনসহ পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে।’

মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে সূরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শাশুড়ি জামিলা খাতুনকে বুধবার ভোর রাতে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews