এইবেলা কুলাউড়া ::
মৗলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরশহরের উছলাপাড়া থেকে সুরাইয়া ইয়াছমিন রুহি (১৬) নামক এক স্কুলছাত্রীর লাশ ০৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত স্কুলছাত্রী রুহি কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। রুহি আত্মহত্যা করলেও আত্মহত্যার পেছনে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, কুলাউড়া পৌরসভার উছলাপাড়ার বাসিন্দা ও শহরের মিলিপ্লাজার ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন চৌধুরীর বাসায় ০২ জুলাই বুধবার রাতের কোন একসময় স্কুল ছাত্রী রুহি গলায় ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের সাথে আত্মহত্যা করেন। বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কক্ষের দরজা না খোলায় ডাকাডাকির এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে কামাল উদ্দিন চৌধুরী রুমে প্রবেশ কওে লাশ ঝুলতে দেখেন। তিনি ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে বিছানায় রেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত স্কুল ছাত্রী রুহি খালার বাসায় থেকে লেখাপড়া করতো। তার মুল বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নে। রুহির মা ফাতেহা ইয়াসমিন সাকি ও পিতা শেখ রুমান আলী জানান, রুহির খালা লাকি আক্তার সকাল ৭টায় তাদের ফোন দিয়ে জানান, রুহি দরজা খুলছে না। তাড়াতাড়ি আসার জন্য। তারা এসে রুহির লাশ দেখতে পান। রুহির মৃত্যুও জন্য তিনি থানায় মামলা করবেন।
জানা যায়, রুহিকে এক ছেলে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। ওই ছেলে তার প্রস্তাবে রাজি না হলে আত্মহত্যা করে মরতে হবে বলে হুমকি দেয়। ধারণা করা হচ্ছে ওর হুমকি আর রুহির আত্মহত্যা এক সুতোয় গাথা।
এব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম আফছার জানান, ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে। আপাতত অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।##
Leave a Reply