এইবেলা, কুলাউড়া ::
সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী মো: শামীম মিয়া (৪৭) গত ১০জুন দেশে আসেন। রাত সাড়ে ১১টায় টঙ্গি বিলাস বাস কাউন্টার থেকে কুলাউড়া আসেন। দুটি লাগেজ ট্যাগ লাগিয়ে বাসের সুপারভাইজারকে বুঝিয়ে দেন। সকালে কুলাউড়া নামার সময় একটি লাগেজ উধাও। প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মালামালসহ লাগেজটি না দিয়ে বাস বিয়ানীবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বাসের সুপারভাইর ও কর্তৃপক্ষ একমাস অতিবাহিত হলেও সুরাহার না করে এখন আর ওই প্রবাসীর ফোনই রিসিভ করে না। নিরুপায় হয়ে ওই প্রবাসী কুলাউড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রবাসী মো:. শামীম মিয়া অভিযোগ করেন, ঘটনার পরদিন বাসের সুপারভাইজার আমার লাগেজ (ট্যাগ নং ০৪৩০৬৮) এর কোন সরাহা না করিয়া যাত্রীদের মোবাইল নাম্বার সংবলিত একটি সিট আমাকে ধরিয়ে দেন। আমি একেক করে সকল যাত্রীদের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করি। আমি নিশ্চিত বিলাস পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব নং ১২-৪৪৫৮) এর সুপার ভাইজার কুলাউড়া আসার আগেই আমার লাগেজটি সরিয়ে ফেলে। নতুবা তাদের চক্রের লোক মারফত বাসের সুপারভাইজার আব্দুল মান্নান লাগেজটি সরিয়ে ফেলে। বিষয়টি নিয়ে বাসের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও সুরাহা পাইনি। আমার এক সহকর্মী ও আমার অনেক মুল্যবান মালামাল ছিলো লাগেজটিতে। আমি আমার সহকর্মী এবং পরিবারের কাছে কোন জবাব দিতে পারছি না। আমার বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেলো।
ওই বাসের সুপারভাইজার আব্দুল মান্নানের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ০১৫৭৬-৬৭৩১৪৪ টিতে যোগাযোগ করলে ফোনটি ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে অপারেটর থেকে প্রতিউত্তর আসে।
বাসটির ফোরম্যান শাহরিয়ার শিপলু’র ব্যক্তিগত নাম্বারে ফোন দিলে কাউন্টার থেকে জানানো হয়, তিনি বাইরে আছেন।
এব্যাপারে কুলাউড়া থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই মালিক জানান, ঘটনা সত্য। মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।##
Leave a Reply