মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাত দিন ব্যাপি নানা কর্মসূচী
মিলাদ ও দোয়া সম্পন্নের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। সাত দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে প্রতিষ্ঠানের সকল বিভাগ। এতেএতিম হাফেজদের মাধ্যমে কুরআনের খতম, দোয়া
মাহফিল পালন করা হয়।
শেষ দিনে, ১৩ জুলাই রোববার হবিগঞ্জ যমুনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ‘কর্মে কৌলীন্যে অনন্য এক জীবন’ প্রতিপাদ্যে সকালে পবিত্র কোরআন খতম ও মোনাজাতের পাশাপাশি সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কালো ব্যাজ ধারণ করেন। দুপুরে হবিগঞ্জের মাধবপুরে যমুনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে হুরাইন এইচটিএফ, যমুনা হাইটেক স্পিনিং মিলস, যমুনা টায়ার এন্ড রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ, যমুনা পলিসিল্ক, যমুনা পেপার, যমুনা পাওয়ার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দোয়া মাহফিল ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও দুই শতাধিক এতিম শিশু অংশগ্রহণ করেন ১০টি এতিমখানার মানুষ। অনুষ্ঠান চেয়ারম্যানের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেকেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। বক্তারা
বলেন, যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ছিলেন একজন কঠোর পরিশ্রমী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ। তাঁর আদর্শ ধারণ করে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।
বিশেষ অথিতির বক্তব্য দেন যমুনা ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পার্কের সিনিয়র জিএম আবুল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম,
সাজ্জাদ, স্থানীয় মেম্বার আরজু সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষ।
যমুনা গ্রুপের সেন্ট্রাল মহাব্যবস্থাপক এইচআর অপারেশনস নূরে এ. খান বলেন, আজ আমরা এক
অনন্য, স্মরণীয় এবং বেদনাময় উপলক্ষে একত্রিত হয়েছি। আমাদের শ্রদ্ধেয় ও পরম শ্রদ্ধাভাজন চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁর শূন্যতা শুধু যমুনা ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্কের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের শিল্প
উন্নয়ন ও মানবসম্পদের অগ্রযাত্রার জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী উদ্যোক্তা, একজন সাহসী নেতা, এবং একজন মানবিক মননের প্রতীক। তাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হাজার হাজার মানুষের জীবিকা, প্রশিক্ষণ এবং স্বপ্নের একটি আশ্রয়স্থল।
তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি দর্শনের প্রতিফলন— তিনি কঠোর শৃঙ্খলার অনুসারী ছিলেন, কিন্তু হৃদয়ে ছিলেন অতি কোমল। আমরা যেন তাঁর দেখানো সততা, পরিশ্রম, উন্নয়নের ধারা এবং মানবিক মূল্যবোধ বজায় রাখি এবং এই শিল্প পার্ককে
এমন উচ্চতায় পৌঁছে দেই, যেটি তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন। আসুন, তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি, তাঁর কর্মকে স্মরণ করি এবং প্রতিজ্ঞা করি। আমরা তাঁর রেখে যাওয়া প্রতিষ্ঠানকে হৃদয় ও কর্ম দিয়ে আগলে রাখবো, এগিয়ে নিয়ে যাবো।
শেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ক্বারী আক্তার হোসেন। পরে এতিম, অসহায়, দুঃস্থসহ হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কর্মরত প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply