নিখোঁজের ৬ বছর পর কুলাউড়ার আব্দুল আহাদের লাশ উদ্ধার – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখার ছিদ্দেক আলী হাইস্কুলের ‘শতবার্ষিকী’ উদযাপনে কমিটি হিনাইনগর যুবসংঘের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গুনিজন ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নব বিমানসেনা দলের ৫৩ তম রিক্রুটদলের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত বড়লেখায় রহস্যঘেরা বাংলোবাড়িতে পুলিশের অভিযান বড়লেখা-জুড়ী নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের কর্মবিরতি : জনভোগান্তি মৌলভীবাজারে সুজনের গোলটেবিল বৈঠকে : নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব ছাতকে ইউএনও তরিকুল ইসলাম বিদায় নতুন ইউএনও ডিপ্লোমেসি চাকমার যোগদান কুলাউড়ার শরীফপুরে সড়কে প্রাণ গেলো ২ মোটরসাইকেল আরোহীর  বড়লেখায় আর্ন্তজাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষে ৫ অদম্য নারীকে সম্মাননা বড়লেখায় আর্ন্তজাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা

নিখোঁজের ৬ বছর পর কুলাউড়ার আব্দুল আহাদের লাশ উদ্ধার

  • বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫
কাস্টমস কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ।

Manual6 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

Manual8 Ad Code

ছয় বছর আগে চট্টগ্রাম থেকে নিখোঁজ হওয়া কাস্টমস কর্মকর্তা কুলাউড়ার আব্দুল আহাদের (৪৬) লাশ ফেনী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, মৃত ব্যক্তি স্থানীয় কোনো দিনমজুর। তবে পকেটে থাকা একটি বেসরকারি ব্যাংকের হিসাব নম্বর থেকে তার আসল পরিচয় শনাক্ত করা হয়। পরে চট্টগ্রামের কাস্টমস কর্মকর্তা আবদুল আহাদ হিসেবে তার পরিচয় নিশ্চিত করে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।

পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১৯ সালের ৭ মে চট্টগ্রাম থেকে আবদুল আহাদকে অপহরণ করা হয়েছিল। এরপর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আব্দুল আহাদ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার দাউদপুর গ্রামের মো. ইমানি মিয়ার ছেলে। তার স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। কর্মজীবনের শুরুতে কলেজে প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, পরে কাস্টমস বিভাগে যোগদান করেন। তিনি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সর্বশেষ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেখান থেকেই তিনি নিখোঁজ হন।

নিহতের ছোট বোন নাঈমা নাসরিন বলেন, ‘আমার ভাইকে ২০১৯ সালের ৭ মে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করলে ভাবি তা দেন, কিন্তু ভাই ফিরে আসেননি। আজ তার লাশ উদ্ধার হয়েছে। কেন তাকে অপহরণ ও হত্যা করা হলো—এখনো আমরা কিছুই জানি না। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি করছি।’

Manual6 Ad Code

নিহতের ভাগ্নে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অপহরণের পর আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েছিলাম। সংবাদ সম্মেলনও করেছিলাম। কিন্তু মামার খোঁজ মেলেনি। অপহরণের ৬ বছর পর মামা লাশ হয়ে ফিরল। সচ্ছল পরিবারের সন্তান ছিল মামা, কেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, তা বলতে পারব না। তবে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে। এখন লাশ পাওয়ার পর আমরা এ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি করছি।’

Manual5 Ad Code

ছাগলনাইয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ আলম জানান, মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে ছয় বছর আগের অপহরণের যে তথ্য জানানো হয়েছে, পুলিশ সেটি যাচাই করছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মনে হচ্ছে। তবু বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Manual4 Ad Code

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!