এইবেলা ডেক্স, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নে স্বামীর নির্যাতনে মুন্নী বেগম (২০) নামক এক গৃহবধূর মত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার ৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কুলাউড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে মুন্নীর স্বামী ইয়াইদ আলী (২৫) পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ও গৃহবধূর পরিবার সুত্রে জানা যায়, জয়চন্ডী ইউনিয়নের দানাপুর গ্রামের মৃত শফত আলীর ছেলে ইয়াইদ আলীর সাথে গত এক বছর আগে একই এলাকার মুন্নী বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই মুন্নীকে নির্যাতন করতেন ইয়াইদ আলী। মুন্নি নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রায় সময় পিতার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে স্বামীকে দিতেন। দেড় মাস আগে তাদের ঘরে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত দুদিন আগে টাকার জন্য স্ত্রীকে আবারও মারধর করেন স্বামী ইয়াইদ। এতে মুন্নী অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার ভাইয়েরা তাঁকে (মুন্নীকে) উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মুন্নীর অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে তাঁকে সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথে মুন্নীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রাত ৯ টার দিকে কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওসার দস্তগীর ও কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসানসহ পুলিশ গৃহবধুর পিতার বাড়িতে যান।
মুন্নীর ভাই মঈন উদ্দিন ও জসীম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ইয়াইদ সম্পর্কে তাঁদের ফুফাতো ভাই। তিনি কোন কাজকর্ম করতেন না। ইয়াইদ বেকার থাকায় কিছুদিন আমাদের দোকানে কাজ করেন। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই তিনি আমাদের বোনকে টাকার জন্য মারধর করতেন। দুদিন আগে তিনি মুন্নীকে মারধর করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় মুন্নীকে তার স্বামী ইয়াইদসহ আমরা কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক মুন্নীর অবস্থা শংকটাপন্ন বলার পর সেখান থেকে ইয়াইদ পালিয়ে যান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওসার দস্তগীর বলেন, ওই গৃহবধূর লাশ সুরতহাল শেষে ময়ানতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। আইন অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply