এইবেলা, রাজনগর ::
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবদমান দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ২টি অভিযোগই নথিভুক্ত হয়েছে। অভিযোগে রাজনগরের উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৫ ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিএনপিসহ সাড়ে ৪ শতাধিক নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজনগর উপজেলার পরিষদের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান খানের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ উভয় পক্ষে অন্ত:ত ৩০ জন আহত হন।
এঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের পক্ষে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ময়নুল ইসলাম খান। মামলায় (নং-০৩, জিআর ১৬/২০২১) উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু খান, অলিলা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিল্লুর রহমান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সাম্মু, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ খান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরীসহ ২১ জনের নামোল্লেখ করে এবং ১৫০ অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ময়নুল ইসলাম খানের করা মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালে উপজেলা পরিষদের সভায় রাজনগরের কামারচাক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কলাইকোনা গ্রামের আব্দুল মছব্বিরের নাম রাজাকারের তালিকায় অন্তর্ভূক্তির জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর সুপারিশ করা হয়। এরপর থেকে তার (আব্দুল মছব্বিরের) ছেলে ২নং আসামী জিল্লুর রহমান অবৈধ টাকার জোরে স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনকে হয়রানি করে আসছেন এবং অর্থের লোভে লোকজনকে স্বাধীনতা বিরোধী করে তুলছেন। এর প্রতিবাদে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজগর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদি মিছিল করতে গেলে উপেজলা চেয়ারম্যান শাহাজাহন খান ও জিল্লুর রহমানের নির্দেশে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে তাদের বিভিন্ন নেতাকর্মী আহত হন।
অপরদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান খানের পক্ষে উপজেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক তানিম খান বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনসুর নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন বখত, কামারচাক ইউপি চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিম, মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ছালেক আহমদ, ফতেহপুর ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চ›্দ্র দাস, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ময়নুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ফৌজি, ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল আহমদসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ২৫ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় (নং-০৪, জিআর ১৭/২০২১) বলা হয়েছে বাদীকে যুবলীগের সভাপতি ময়নুল ইসলাম খান, সহ সভাপতি সিজু আহমদ সম্পাদক আব্দুল কাদির ফৌজিসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার প্রস্তাব করে। এতে তিনি রাজি না হয়ে ঘটনার দিন (১১ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বিষয়টি জানানোর সময় সাধারণ সম্পাদক মিলন বখতের নেতৃত্বে বন্দুক, পিস্তল ও দেশিয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এতে তাদের বিভিন্ন নেতাকর্মী আহত হন।
রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসিম জানান, উভয়ক্ষে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে। মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে বলে তিনি নিশ্চত করেন।#
Leave a Reply