বঙ্গবন্ধুর চার মূলনীতি এখন হারানো দিনের গান : অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বঙ্গবন্ধুর চার মূলনীতি এখন হারানো দিনের গান : অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঋণ ম্যাচমেকিং কর্মসূচি ও ব্যাংকার-উদ্যোক্তা মত বিনিময় সভা ৪শ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক নিদর্শণ আত্রাইয়ের তিন গুম্বুজ মসজিদ-মঠ সিলেট তালতলা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন জেলা প্রশাসকের সাথে কুলাউড়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মতবিনিময় কুলাউড়ার সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ বড়লেখায় বিজিবির হাতে রুপিসহ ভারতীয় নাগরিক আটক কুড়িগ্রামে ঘর-বাড়ি ফসলি জমি রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা গ্রামবাসীর    সিলেটে বিএনপির বিশাল শোডাউন সিলেট নগরীতে ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত রিকশা চলাচলে নতুন নির্দেশনা ঘরহারা বন্যার্তদের পাশে কুলাউড়া এসোসিয়েশন অব নিউজার্সি ইউএসএ

বঙ্গবন্ধুর চার মূলনীতি এখন হারানো দিনের গান : অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন

  • শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক,  ঢাকা ::
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে (দ্বিতীয় তলা, ঢাকা) মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে ”বঙ্গবন্ধু ও চার মূলনীতি” শীর্ষক এক আলোচনা সভা ১৩ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি।
মূল প্রবন্ধে বঙ্গবন্ধু চেয়ার, ইউনিভার্সিটি অব  প্রফেশনালস অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর চার মূলনীতি এখন হারানো দিনের গান। ১০  জানুয়ারি ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে বলেন, বাংলাদেশ হবে একটি আদর্শ রাষ্ট্র,  ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র হবে না। রাষ্ট্রের ভিত্তি হবে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতা। পরে জাতীয়তাবাদ যুক্তকরে চার মূলনীতি নীতি নির্ধারন করা হয়। তিনি বলেন, একদিকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, অপর দিকে ধর্ম নিরপেক্ষতা একসাথে যায় না। রাষ্ট্রের কোনধর্ম থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সমাজতন্ত্র  বলতে শোষণহীন সমাজের কথা বলেছেন। বাইরে থেকে আরোপিত সমাজতন্ত্র নয়, দেশের মধ্য থেকেই এই সমাজতন্ত্রের উদ্ভব হবে।  তিনি গণতন্ত্রের সজ্ঞায়িত করেন শোষিতের গণতন্ত্র হিসেবে। আর অন্যদিকে   জাতীয়তাবাদকে বাঙালীর অনুভূতির প্রকাশ  বলে বলেছেন।
আমরা জাতীতে বাঙালী,  নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশী। সকল  সংখ্যালঘু জাতিসত্ত্বার স্বীকৃতি দিয়েই বাঙালী জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটবে।
তিনি বলেন, যাত্রার শুরুতে আলো থাকলেও এখন আমরা আলো আধারিতে রয়েছি। তিনি ২০১৯ সালে সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ক্রোড়পত্রে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সম্পাদনা করা হয়েছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সম্পাদনার অধিকার কারোর নাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে তার এই রাষ্ট্র চিন্তাকেই অনুসরণ করতে হবে।
আলোচনা সভায় মূলপত্রে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন  বাদশা এমপি অভিযোগ করেন মুজিব বর্ষের সংসদের বিশেষ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর যে ভাষণ প্রচার করা হয় তাতে ধর্মের নিরপেক্ষকতা ও সমাজতন্ত্র সম্পর্কে বক্তব্য কেটে বাদ দেয়া হয়েছিলো। এব্যাপারে পার্লামেন্টে প্রশ্ন করলেও তার উত্তর পাওয়া যায়নি।
কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বঙ্গবন্ধুর চার মূলনীতি বাদ দিলে দেশের অস্তিত্বই থাকে না।
সভাপতির সূচনা ভাষণে পার্টির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে। কিন্তু চরম বৈষম্য উন্নয়নকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে নয়, তাকে বাধাগ্রস্থ করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ধনী সৃষ্টির কারখানা কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেষদিন পর্যন্ত শ্রমিক-কৃষক মেহনতি মানুষের শোষন-বৈষম্যর অবসান ও তাদের হাসি ফুঁটাবার কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রচিন্তাকে অনুসরণ করলে বাংলাদেশ একটি আর্দশ রাষ্ট হতে পারে।
সভার শেষে গণসাংস্কৃতিক মৈত্রী আন্তর্জাতিক সঙ্গীত ও গণসংগীত পরিবেশন করেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews