নিজস্ব প্রতিবেদক::
ভারতীয় বিএসএফ পোষ্টের সামনে বালু চরে দিনভর পড়ে আছে সাইদুর রহমান (২২) নামে এক বাংলাদেশী যুবকের লাশ।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা অবধি বাঁধার মুখে বিএসএফ ক্যাম্পের পোষ্টের সামনে কিছুটা অদুরে বালু চরেই লাশ পড়ে রয়েছে বলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেন।
নিহত সাইদুর সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল উওর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড়গোপ টিলার হতদরিদ্র টেলাগাড়ি চালক হবি রহমানের ছেলে।,
অবশ্য সোমবার সন্ধায় ২৮-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি) সুনামগঞ্জের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. তছলিম এহসান গণমাধ্যকে জানিয়েছে,ওই যুবকের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের শিলং সেক্টরের ১১বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নিহতের পিতা হবি রহমান জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আমার ছেলে সাইদুর সোমবার ভোররাতে জাদুকাটা নদীতে অন্যান্য শ্রমিকদের সাথে কয়লা কুঁড়াতে যায়।
হয়ত অসাবধান বশত সীমান্তের ১২০৩ মেইন পিলার অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে কয়লা কুঁড়াতে গিয়ে সে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। এরপর অন্যান্য শ্রমিকদের মুখে সকাল ৭টার দিকে খবর পাই তার লাশ ভারতের মেঘালয় ষ্টৈইটের ঘোমাঘাট বিএসএসফ পোষ্টের অদুরে জাদুকাটা নদীর পুর্ব তীরে বালু চরে পড়ে রয়েছে। আমার ছেলে ভারতে কেন কীভাবে মরা গেছে তাও নিশ্চিত হতে পারিনি।
তিনি আরো বলেন,খবর পেয়ে স্বজনদের নিয়ে ছেলের লাশ আনতে সীমান্তের শুন্য রেখা বরাবর গেলে ভারতীয় ঘোমাঘাট বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা লাশের কাছেই যেতে দেয়নি এমনকি বাঁধার মুখে ফিরে এসে বিজিবির ল্উারগড় ক্যাম্পে অবহিত করি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পোস্টের কাছে বালুচরে এখনও পড়ে রয়েছে বাংলাদেশি যুবক সাইদুর রহমানের (২২) লাশ।
মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখন তার লাশ ফিরে পায়নি পরিবার।
তবে কীভাবে সাইদুরের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি এবং বিএসএফের পোস্টের কাছেই কেন বা লাশটি পড়ে রয়েছে তাও স্পষ্ট নয়।
মঙ্গলবার দুপুরে ২৮ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সুনামগঞ্জের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তছলিম এহসান বলেন, ওই যুবকের তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের শিলং সেক্টরের ১১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল পর্যায়ে আলাপ হয়েছে। আজ যে কোনো সময় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ ফেরত দেবে বিএসএফ।
লাশ ফেরত আনার জন্য যে ধরনের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা দরকার তা চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে সাইদুরের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে সে বিষয়ে জানাতে পারেননি লে. কর্নেল মো. তছলিম এহসান। লাশ ফেরত পাওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।##
Leave a Reply