নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা রেল স্টেশনের অদুরে হোসেনপুর নামক স্থানে তেলবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে সিলেটের সাথে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ৫ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর রাত ৭ টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বরমচাল স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম কাজল জানান, সিলেটগামী তেলবাহী একটি ট্রেন বেলা ২টা নাগাদ ভাটেরা স্টেশন অতিক্রম করার পর হোসনপুর নামক স্থানে একটি বগির ৪টি চাকা লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
কুলাউড়া স্টেশন মাস্টার মুহিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে কুলাউড়া স্টেশন থেকে উদ্ধারকারী একটি ট্রেন ঘটনাস্থলে যায়। উদ্ধার কাজ শেষ হওয়ার পর রাত ৭ টা থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এসময় কুলাউড়া স্টেশনে চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্ত:নগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন এবং মাইজগাঁও স্টেশনে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্ত:নগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা পড়ে।
রেলওয়ের উর্ধ্বতন প্রকৌশলী জুয়েল হোসেন জানান, লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ হলো রেললাইনে ক্লিপ ও ফিসপ্লেইট না থাকা। সিলেট আখাউড়া রেল সেকশনের বেশিরভাগ ক্লিপ ও ফিস প্লেইট চুরি করেছে সংঘবদ্ধ চোর চক্র। রেলওয়ের বিধান অনুযায়ী মোটর-ট্রলিতে করে লাইন পরীক্ষা করার কথা। কিন্তু কুলাউড়া স্টেশন থেকে সিলেট অভিমুখে বা শ্রীমঙ্গল স্টেশন অভিমুখে এ ধরনের কোনো কার্যক্রম পরিচালনা নেই বললেও চলে।
তিনি আরও জানান, এ রেলপথের যন্ত্রাংশ পুরনো হওয়াতে ট্রেন চলাচলের সময় ক্লিপ-হুক স্লিপারও রেললাইন থেকে খুলে উড়ে যায়। কাঠের স্লিপার পড়ে যাওয়াতে ট্রেনের চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেক স্লিপার বেঁকে যায়। এতে লাইন দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে ঘন ঘণ ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে ভাটেরা স্টেশনের পাশর্^বর্তী মাইজগাঁও স্টেশনে তেলবাহী একটি ট্রেনের ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এঘটনায় প্রায় ৩০ ঘন্টা পর সিলেটের সাথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
Leave a Reply