২১ আগস্ট সেই গ্রেনেড হামলা : সেদিন কেয়ামত থেকে আমরা রাজকীয়ভাবে ফিরে এসেছি ২১ আগস্ট সেই গ্রেনেড হামলা : সেদিন কেয়ামত থেকে আমরা রাজকীয়ভাবে ফিরে এসেছি – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে দূর্ঘটনায় এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু বড়লেখায় ৯ মাসের পাকার কাজ ১৩ মাসে ৩ ভাগ! ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারিতায় চরম ভোগান্তি কমলগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত : আহত ২ : আটক ৩ জন কুলাউড়ায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার কুলাউড়ায় এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শতভাগ বাস্তবায়ন করেছে ৩টি প্রতিষ্ঠান ৩ মাস থেকে ১২ চা বাগানের শ্রমিকদের রেশন-বেতন বন্ধ কুলাউড়ার নবারুন আদর্শ বিদ্যাপীটের সভাপতির প্রবাস গমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” বড়লেখায় শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণ কুড়িগ্রামে শ্রমিক লীগ নেতাকে শ্রমিক দলে রাখার পায়তারা

২১ আগস্ট সেই গ্রেনেড হামলা : সেদিন কেয়ামত থেকে আমরা রাজকীয়ভাবে ফিরে এসেছি

  • শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২

সেলিম আহমেদ :: সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসুর) সাবেক ভিপি।  ১৯৯৬ সালে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ছাত্রবস্থায়ই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রতিরোধ যুদ্ধে একই সঙ্গে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় অনেকের সাথে তিনিও আহত হয়েছিলেন গুরুতর।

গ্রেনেডের স্প্রিন্টার আজও শরীরে ধারণ করে রাখা সুলতান মনসুরের শারীরিক যন্ত্রণা সময়ের সাথে সাথে কমে আসলেও মানসিক যন্ত্রণা যেন তাঁর সঙ্গী হয়েছে আমৃত্যু। ১/১১ পর সুলতান মনসুর চলে যান স্রোতের বাইরে। হারান দলীয় পদ-পদবী।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে একই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর জোটের সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নিয়ে যান সংসদে। বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে অনেকটা কোনঠাসাই তিনি। 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বর্ননা ও কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য ‘জাতীয় মুক্তিবাহিনী’ গঠন ও ’৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশের চিত্র জানতে মুখোমুখি হয় সুলতান মনসুরের।

 ২১ আগস্টের স্মৃতিচারণ করুন?

সুলতান মনসুর: দিনটি ছিল শনিবার। বিকেলে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে সন্ত্রাস ও বোমা হামলার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সমাবেশ। সমাবেশ শেষে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল হওয়ার কথা। তাই মঞ্চ নির্মাণ না করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি ট্রাক কেমঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সমাবেশে অন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যের শেষান্ত। তখন আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৫টা। হঠাৎ করেই শুরু হয়ে গেল নারকীয় গ্রেনেড হামলা। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে লাগল একের পর এক গ্রেনেড।বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ মুহূর্তেই পরিণত হলো মৃত্যুপুরীতে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহুর্মুহু গ্রেনেড হামলার বীভৎসতায় মুহূর্তেই রক্ত- মাংসের স্তুপে পরিণত হয় সমাবেশস্থল।আসলে এটা একটা বিভীষিকাময়। কারবালার ইতিহাস আমরা পড়েছি, কিন্তু ২১ আগস্ট কারবালাকে ও ম্লান করবে।আমরা যারা যেদিন বেঁচে ফিরেছি, তারা কেয়ামত থেকে রাজকীয়ভাবে ফিরে এসেছি। গ্রেনেডের স্প্রিন্টার আজও শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছি। ক্ষমতাসীন বিএনপি জোট এই গ্রেনেড হামলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একটা জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল।

২১ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক প্রভাব ফেলেছিল?

সুলতান মনসুর: দেশ স্বাধীনের পর থেকেই দেশি-বিদেশি বিভিন্ন স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের একট ষড়যন্ত্র ছিল। নানা সময় নানা পটপরিবর্তনে কারনে বিভিন্নজন বিভিন্ন সময় ক্ষমতায় এসেছিল। এই পট পরিবর্তনের একটি অংশ ২১ আগস্ট। তবে এই বিভিষীকাময় ঘটনা কখনো রাজনৈতিক ভাষায় মূল্যায়ন করার সুযোগ নেই। ১৫ আগস্টের মতো আরেকটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী চক্র যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করতে চায়, ধ্বংস করতে সেই বিএনপি সরকার এই জগণ্য ঘটনা ঘটিযেছিল। সেমসয় দেশে মানুষের যে নিরাপত্তা নেই তা দেশি-বিদেশীদের কাছে প্রমাণ হয়েছিল। বিএনপি যে একটা গণবিরোধী শক্তি বা বিএনপির মধ্যে একটা জঙ্গী রাজনৈতিক দল তাও বিশ্ববাসীর কাছে প্রমাণ হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুকে কী ভাবে দেখেছিলেন?

সুলতান মনসুর: আমি রাজনীতি শুরু করি ১৯৬৭-৬৮ সালে। তখন মৌলভীবাজার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। সেই সময় পেপার-পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর খবর পড়তাম। তৎক্ষালিন সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা ছিল ইত্তেফাক। ১৯৬৯ সালে তিনি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরে প্রথম মৌলভীবাজার এসেছিলেম। ওই সময় তাকে আমি প্রথম সরাসরি দেখি। তিনি মৌলভীবাজার শাহ মোস্তফা রোডের ওয়াবদা রেস্ট হাউজে উঠেছিলাম। বিকেলে আমরা মৌলভীবাজার গভমেন্ট স্কুল মাঠে খেলাধুলা করছিলাম, হঠাৎ শুনলাম শেখসাব (বঙ্গবন্ধু) মৌলভীবাজার এসেছেন। আমরা তাকে  দেখার জন্য ছুটে গেলাম। দূর থেকে সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরা বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ভরে দেখলাম। দ্বিতীয়বার দেখলাম ’৭০ এর নির্বাচনের সময়। তখন রমজান মাস ছিল। জেনারেল এমএ গনি ওসমানীর নির্বাচনী প্রচারণা শেষে তৎক্ষালীন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান ফরিদ গাজী বঙ্গবন্ধুকে মৌলভীবাজার এসেছিলেন। আমরা তখনকার মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের নেতাদের নেতৃত্বে শেরপুর ফেরীঘাট থেকে রিসিভ করলাম। তখন জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলেন মুজিব ভাই, মতি ভাই (মতিউর রহমান চৌধুরী), সজল ভাই, ওদুদ ভাই (আব্দুল ওদুদ) উল্লেখযোগ্য। আমি তখন জয় বাংলা বাহিনী (ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী) করতাম। সেই সময় বিশাল এক ব্যাপার। তিনি আসার কথা সন্ধ্যায় কিন্তু এসেছেন রাত ১০ টায়। কিন্তু শেরপুর থেকে মৌলভীবাজার প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে পুরুষ-মহিলাসহ সর্বস্তরের হাজার মানুষ হারিকেন হাতে নিয়ে দাড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধুকে অভ্যন্তণা জানানোর জন্য। অন্ধকার থাকায় গাড়িতে থাকা বঙ্গবন্ধুকে দেখা যাচ্ছেনা তবে আবেড়প্রবণ মানুষ গাড়িতে হাত লাগিয়ে সেই ছোঁয়া বুকের মধ্যে লাগাতে দেখেছি। বঙ্গবন্ধু সেবার এসে মৌলভীবাজার পিটিআই বাংলোতে উঠেছিলেন। বন্ধবন্ধু পরদিন কমলগঞ্জ, শমসেরনগর হয়ে বড়লেখায় নির্বাচনী প্রচারণায় গেছেন। সেখানে থেকে কুলাউড়া হয়ে এসে মৌলভীবাজারে নির্বাচনী সভায় যোগদান করেছেন। সভা শেষে শ্রীমঙ্গল হয়ে হবিগঞ্জ যাওয়ার পথে শুনলাম বঙ্গবন্ধুকে মুসলিমলীগ নেতা চেরাগ মিয়ার ছেলের নেতৃত্বে কালো পতাকা দেখানো হবে। খবরটি গাজী সাহেব (দেওয়ান ফরিদ গাজী) বলছেন, সিলেট কী বঙ্গবন্ধু অসম্মানিত হয়ে যাবেন। তারপর জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আমার মিছিলসহ সহকারে রাতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত গেলাম। বঙ্গবন্ধু রাতে শ্রীমঙ্গলে সভা করে চলে গেলেন হবিগঞ্জে। এরপর মুক্তিযুদ্ধ হল, দেশ স্বাধীন হল। আমি সিলেট ছাত্র রাজনীতি শুরু করলাম। এমসি কলেজের (মুরারীচাঁদ কলেজ) ভিপি হলাম। সিলেট বঙ্গবন্ধু এলেন আরো দুইবার দেখা হলো। শেষবার সরাসরি দেখলাম ১৯৭৫ সালের ৪ জুলাই সালে। আমি তখন মদনমোহন কলেজের ভিপি ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তখনকার সময় সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা বাবলু হোসেন বাবুলের সঙ্গে গণভবনে দেখা করতে এসেছিলাম। বঙ্গবন্ধুতো তখন আমাকে সরাসরি চিনতেন না আর সেই বয়সে চেনারও কথা না। তবে বাবলু ভাইকে ছিনলেন। বাবলু ভাই একটা রাজনৈতিক মামলা সংক্রান্ত কাজে এসেছিলেন। এরপরতো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। আমরা প্রতিবাদে সংগঠিত হলাম।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কাদের সিদ্দিকীর ‘জাতীয় মুক্তিবাহিনী’তে আপনার ভূমিকা কী ছিল?

সুলতান মনসুর: বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রতিরোধ যুদ্ধ করার জন্য আমাদের সংগঠিত হতে বলা হল। আমরা সীমান্ত এলাকায় গেলাম। ভারতের তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শ্রমতি গান্ধীর সহযোগীতায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ’৭৫ সালের নভেম্বর মাসে ‘জাতীয় মুক্তিবাহিনী’ গঠন করা হল। যুদ্ধ শুরু হলো ভারতের মেঘালয় প্রদেশের তুরা জেলার চান্দুভূই নাম স্থানে আমাদের ক্যাম্প ছিল। হেডকোয়ার্টারে ৩৬ জন কমাণ্ডার ছিলেন। আমি তথ্য ও প্রচার বিভাগের দায়িত্বে ছিলাম। আমার কাজ ছিল পত্রিকা বের করা ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাঠানো। আবার সেই সংবাদ লেখিয়া জার্মানির মাধ্যমে লন্ডনে গফফার চৌধুরীর কাছে পাঠাতাম। সংবাদগুলো বাংলার ডাক ও ইংরেজী সানরাইজ পত্রিকায় প্রকাশ হতো। এভাবে বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর ভারতের রাজনৈতিক পটপরিবর্তানের কারনে আমাদের কার্যক্রম বন্ধ হল। আমাদের ১০-১২ হাজার কর্মীকে গ্রেফতার করা হলো। তবে আমাদের ৬-৭ কমাণ্ডারকে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকতে দেয়া হল। এর এক-দেড় বছর পর আমি দেশে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হলাম। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আমাকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বানালেন। ছাত্রদের প্রত্যক্ষ ভোটের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসুর) ভিপি হলাম।

৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা কী ছিল?

সুলতান মনসুর: সেটা আপনারা কল্পনাই করতে পারবেন না বেইমান খন্দকার মুশতাক পর সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের পৈষাশিক ব্যবহার। মুক্তিবাহিনীতে যারা গেছে জিয়াউর রহমান গ্রেফতার করেছে। এক কথায় একটা জঙ্গী শাসন ব্যবস্থা শুরু করেছিল। আমরা দুই-আড়াই বছর ভারতে ছিলাম; যেখান থেকে এসে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছি। আমাদের আগেও যারা দেশের ভেতরে ছিলেন তারা আরো বেশি করেছেন। জিয়ার দুঃশাসনের আমলে ৯৯ শতাংশ জায়গায় কোনো ভোট হয়নি। জাতীয় নির্বাচনের নামে পাতানো খেলা হয়েছে। জিয়া মারা যাওয়ার পর কিছু দিন সাত্তার সাহেব ছিলেন রাষ্ট্রপতি। এরপর জিয়ার কায়দায় জেনারেল এরশাদও ক্ষমতায় এলেন। ক্ষমতায় এসে টানা ৯ বছর ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন।তারপর আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এরশাদের পতন হল।

স্বৈরশাসক এরশাদের এইদীর্ঘ ৯ বছর আমাদের নানা আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে। সেলিম, দেলোয়ার, জাফর, জয়নাল, কাঞ্চন, মোজাম্মেল, আওয়ামী লীগ নেতা ময়েজ উদ্দিন আহমেদ, শ্রমিক নেতা তাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্রকামী মানুষকে হারিয়েছি।এরপর তিন দলীয় জোটের রূপরেখার মাধ্যমে ’৯১ সালের নির্বাচন হল। বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে জয় লাভ করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews