এইবেলা ডেস্ক :: সিলেটে পুলিশের বাধায় নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ না করে কোর্ট পয়েন্টে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে জেলা ও মহানগর বিএনপি। শুক্রবার (১৯মে) বেলা ৩টায় কেন্দ্র ঘোষতি ১০ দফা দাবি আদায়ে এই সমাবেশ ডেকেছিলো দলটি। এরপর কোর্ট পয়েন্ট থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
কোর্ট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার বিএনপিকে ভয় পাচ্ছে। তাই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও বাধা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে কোন সুষ্টূ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই বিএনপি এই সরকারের অধীনে সব নির্বাচন বর্জন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। বিএনপির সব নেতাকর্মীদেরও দলের নির্দেশনা মেনে নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলনে শরীক হতে হবে।
তবে সমাবেশে বাধা প্রদানের অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সুদীপ দাস বলেন, বিএনপিকে ইনডোরে সমাবেশ করতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু তারা তা না মেনে রেজিস্টারি মাঠে জড়ো হন। অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় তা্দরেকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
তবে পুলিশ বলছে, রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশের অনুমতি ছিলো না বিএনপির। তাদেরকে ইনডোরে সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু অনুমতি ছাড়াই বিএনপি নেতাকর্মীরা শুক্রবার দুপুরে রেজিস্ট্রারে মাঠে জড়ো হন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধীনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদসহ ১০ দফা বাস্তবায়ন দাবিতে শুক্রবার দুপুরে রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপি নেতারা জানান, বেলা তিনটার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা রেজিস্ট্রারি মাঠের দিকে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। রেজিস্ট্রারি মাঠের ফটক আটকে মাঠের ভেতরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। পরে কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় সমাবেশ করেন তারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, আমাদের শান্তিপুর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। রেজিস্ট্রারি মাঠে আমাদের সমাবেশ করতে দেয়ি। তবে আমাদের এই আন্দোলকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারেব না। রেজিস্ট্রারি মাঠ দখল করেছে পুলিশ আর বাকী সিলেট বিএনপির দখলে।
Leave a Reply