বড়লেখা প্রতিনিধি :
কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনে ভারত-বাংলাদেশের সমঝোতায় আশার আলো ছড়াচ্ছে সিলেট অঞ্চলে। শনিবার কুশিয়ারার পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে প্রথম দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় আসাম রাজ্যের সীমান্ত জেলা করিমগঞ্জে।
সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে সীমান্তে বন্ধ থাকা জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদী ও রহিমপুর খালের সংযোগস্থল পুনঃখননসহ পাঁচটি কাজ চালুর অনুমোদন দিয়েছে বিএসএফ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সাতটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া সমঝোতা চুক্তির মধ্যে অন্যতম কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি। এর অধীনে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী কুশিয়ারা থেকে প্রতি সেকেন্ডে ১৫৩ কিউসেক পানি উত্তোলন করবে বাংলাদেশ ।
আসামের করিমগঞ্জ জলসম্পদ বিভাগের বরাক এবং উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সমীরণ ডেকার সভাপতিত্বে করিমগঞ্জের জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে ছিলেন পানি উন্নয়ন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী খুশিমোহন সরকার, সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার প্রবীর কুমার গোস্বামী, বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত অধিনায়ক নজরুল ইসলাম, সাহিদুর রহমান, আজিজ আহমেদ, কাজি সামিম। অন্যদিকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন জলসম্পদ বিভাগের সহকারী মুখ্য বাস্তকার সমীরণ ডেকা, বিএসএফ-এর শিলচর সেক্টর ডিআইজি চি পি মিনা, ডিডিসি দীপক জিডুং, রাজীব সিং, নিখিল মহাজন, সুব্রত নাথ, জিলাস উদ্দিন লস্কর।
উভয় প্রতিনিধি দল করিমগঞ্জের কুশিয়ারা নদী এলাকা পরিদর্শন শেষে খনন, নদীর দুই তীরের ভাঙন প্রতিরোধ, পানির পরিমাণ সংগ্রহ এবং যৌথ বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন নিয়ে সভায় আলোচনা হয় । আগামী মাসে প্রতিনিধি দল করিমগঞ্জের ভাঙা এলাকা পরিদর্শণ করবে বলে জানা গেছে ।
উল্লেখ্য তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে ২০১০ সালে চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর আপত্তির কারণে সেই চুক্তি সফল হয়নি। ১৯৯৬ সালের গঙ্গা চুক্তির পর এই প্রথম বাংলাদেশের সঙ্গে কোন অভিন্ন নদীর পানির চুক্তি সম্পাদন হয়। আর সেই চুক্তি মতে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় শনিবার।
Leave a Reply