এইবেলা, জুড়ী::
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে মামলার সাক্ষী হওয়ায় সাক্ষীর পিতাকে শিকল দিয় বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে আটক করছে। শুক্রবার (৭ জুলাই ) রাতে উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের মনতৈল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
সরজমিনে জানা গেছে, মনতৈল গ্রামের প্রবাসী ইলিয়াস মিয়ার স্ত্রী আয়া বেগমের উপর ১০ জুন মদরিছ আলীর ছেলে পুতুল মিয়ার নেতৃত্ব একদল সন্ত্রাসী দিন দুপুরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। আয়া বেগম থানায় মামলা করেন। মামলায় আব্দুল মতিন মজুমদার ওরফে (কুটিমুটি)’র ছেলে নাহিদুল ইসলামকে সাক্ষী করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে নাহিদুলকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে আসছিল আসামিরা।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টায় ইউনুছ মিয়ার ছেলে কাজল মিয়া (৩৫), বিলাল মিয়া (৩২), মদরিছ আলীর ছেলে পুতুল মিয়া (৩৫), আছির আলীর ছেলে গিয়াস মিয়া (৩৮) শাওন (২০), ইস্তিয়াক (৩৫) সহ ১০/১২ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল দেশীয় দা, লাঠি সোঠা নিয়ে আব্দুল মতিনের বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে তার ছেলে নাহিদুলকে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তার পিতা আব্দুল মতিনকে শিকল দিয়ে হাত পা বেঁধে রেখে তার ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। আব্দুল মতিন চিৎকার করলে সন্ত্রাসীদের ভয়ে তাকে বাঁচাতে ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। এ সময় শিশু সন্তান রাফিউল ও মনি বাবাকে বাঁচাতে সন্ত্রাসীদের হাতে পায়ে ধরে তাদের মন গলাতে পারেনি। সন্ত্রাসীরা দা দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত জেনে চলে যায়।
অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে হামলার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি তারা অস্বীকার করেছে।
জুডী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি কাজল মিয়া ও পুতুল মিয়াকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply