ইবি ডেস্ক :::: বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডা: শফিকুর রহমান ২৪ আগস্ট শনিবার দুপুরে কুলাউড়া বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শণ করেন এবং দূর্গত মানুষের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিতরন করেন। এসময় উপজেলার টিলাগাঁও বাজারে এক সভায় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তাদেও কুকর্মের ফল ভোগ করছে। আওয়ামী লীগের লম্পট মন্ত্রী এমপি এতো কুকর্ম করেছে যে, বন জঙ্গলেও তাদেও জয়গা হচ্ছে না। এখন বনে জঙ্গলে খালে বিলে লুুকিয়ে থেকেও রেহাই পাচ্ছেনা। ইতিমধ্যে তাদেও অনেকের পাপের বিচার শুরু হয়েছে। আগামীতেও আরও হবে।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ৫ তারিখ জালিম সরকার বিদায় নিয়েছে। আমরা এখন দেশটাকে গঠন করবো। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সহযোগীতা করবো। ছাত্রলীগ ও পুলিশ অতীতে যা করেছে তার জন্য তারা শিক্ষা পাচ্ছে। আমাদের ১১ জন নেতাকে হত্যা করেছে। আমাদের দলের নেতৃবৃন্দের ব্যবসা প্রতিষ্টান বাসা বাড়ি লুটপাট করেছে এবং বুলডোজার দিয়ে ভেঙে চুরমার করেছে। জামায়াতে ইসলামীর উপর সবচেয়ে বেশী নিপিড়ন চালিয়েছিল জালিম আওয়ামী সরকার। তাদের পতনও হয়েছে সেভাবে। এরপরেও আপনারা কোন প্রতিশোধ প্রতিহিংসা করবেন না। এক জুলুমতন্ত্রের পরে আরেক জুলুমতন্ত্র
চাই না।
নদীভাঙ্গন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চোরদের জন্য প্রতি বৎসরে বৎসরে নদীর বাঁধ ভাঙ্গছে। কোটি কোটি টাকা বিগত সময়ে বরাদ্ধকৃত অর্থ চোরদের পকেটে চলে যাওয়ার ফলে নদী খনন হয়নি। তাই বৎসওে বৎসরে নদীর বাধ ভেঙ্গে বন্যা হয়। আর মানুষের জানমালের ক্ষতি হয়। বর্তমানে সৃষ্ট বন্যার জন্য প্রতিবেশী দেশের ভারতেরও দায় আছে। শুকনো মৌসুমে তারা বাঁধ দিয়ে পানি আটকিয়ে রাখে আর বর্ষার সময় পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশসকে ভাসিয়ে দেয়। এটা চলতে দেওয়া হবে না। আর্ন্তজাতিক আদালতে এ ব্যাপাওে প্রয়োজনে যাওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সংখ্যা গুরু সংখ্যালঘু বলে জাতিকে বিভক্ত করা যাবে না। আমরা সকলে মিলে এ দেশটাকে নতুন করে গড়ে তুলবো।
টিলাগাও বাজারে কুলাউড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মো: আব্দুল হামিদ খানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর যুগ্ন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় জামাতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াতে ইসলামীর মৌলভীবাজার নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, জেলা সহ সেক্রেটারী আলাউদ্দিন শাহ, মৌলভীবাজার পৌর জামায়াতের আমীর তাজুল ইসলাম, কুলাউড়া উপজেলা জামাতে ইসলামীর সেক্রেটারী অধ্যাপক আব্দুল মোন্তাকিম, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সুমন,জেলা সেক্রেটারী নিজাম উদ্দিন সাবেক জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন, পৌর সভাপতি রুহুল আমিন ও সেক্রেটারী মনসুর আহমদ প্রমুখ।#
Leave a Reply