জুড়ীতে রেলওয়ের ভূমিতে লাইসেন্সবিহীন করাতকল জুড়ীতে রেলওয়ের ভূমিতে লাইসেন্সবিহীন করাতকল – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ : বিজিবির হাতে শিশুসহ ৫ বাংলাদেশী আটক বড়লেখায় সম্প্রীতি রক্ষায় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে প্রশাসনের মতবিনিময় আত্রাইয়ে গ্রাম পুলিশের সাথে নবাগত ইউএনও‘র মতবিনিময় নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন যুবলীগ নেতা- বড়লেখায় জিম্মি রেস্টুরেন্ট খুলে দিলেন ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারে পূবালী ব্যাংকের নতুন ভবনে যাত্রা শুরু কমলগঞ্জের শমশেরনগর : বিমান বাহিনীর ৫২ তম প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ও  মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা কমলগঞ্জে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব এবং পরিবেশগত সমস্যা বিষয়ক প্রচারাভিযান কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দীর্ঘদিনের কোন্দল মেটালেন জেলা আহবায়ক জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ‘ফ্রেন্ডশিপ’ এর জেলা পর্যায়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক এ্যাওয়ার্ড’ অর্জন

জুড়ীতে রেলওয়ের ভূমিতে লাইসেন্সবিহীন করাতকল

  • রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০

আব্দুর রব, বড়লেখা ::

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে রেলওয়ের ভুমিতে চলছে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ করাত কল। অবৈধভাবে করাতকলটি স্থাপন করেছেন জনৈক লতিফ খান। বনবিভাগ বিগত ৮ বছর ধরে বন্ধের নোটিশ দিলেও তিনি তা বন্ধ না করে রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছেন। ২০ অক্টোবর অবৈধ করাতকলে এলাকাবাসীর, পরিবেশের ও বনাঞ্চলের ক্ষতিসাধনের একটি অভিযোগ তদন্ত করেছেন বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জিএম আবু বক্কর সিদ্দিক ।

জানা গেছে, জুড়ী উপজেলার হামিদপুর গ্রামের লতিফ খান ২০১২ সালে মানিকসিং বাজারে রেলব্রীজ সংলগ্ন রেলওয়ের ভুমিতে অবৈধ স-মিল স্থাপন করেন। লাইসেন্সের আবেদন করলে করাতকল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২ এর ৭(ক) ধারা অনুযায়ী স্থাপিত না হওয়ায় বনবিভাগ তাকে লাইসেন্স দেয়নি। বনবিভাগ বারবার করাতকল বন্ধের নোটিশ দিলেও লতিফ খান তা আমলে নেননি। ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী বন বিভাগের স্থানীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমান লাইসেন্স না দেয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে অবৈধ স্থাপিত স-মিলটি বন্ধের জন্য লতিফ খানকে চিঠি দেন। এরপরও বন্ধ হয়নি অবৈধ করাত কলটি।

চলিত বছরের ১৯ আগষ্ট স্থানীয় বাসিন্দা লুজু খান বিভাগীয় বন সংরক্ষক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্নিকটে লতিফ খান রেলওয়ের ভুমিতে অবৈধ করাতকল স্থাপন করায় এলাকার জনসাধারণের, পরিবেশের ও বনবিভাগের ক্ষতি সাধন করছেন।

বন বিভাগ সুত্র জানায়, বনবিভাগ লাইসেন্স না দেয়ায় তিনি ২০১২ সালে বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সরকারের ৫ পদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন করেন। এ রীটের বলেই তিনি অবৈধ করাতকল চালাচ্ছেন।

অভিযোগকারী লুজু খান জানান, রীটের সংযুক্ত কাগজপত্রে লতিফ খান করাত কলের ভুয়া তফশিল বর্ণনা দিয়েছেন। যে দাগে করাত কলের অবস্থান দেখিয়েছেন তা সঠিক নয়। তিনি ভুল তথ্য দিয়ে আদালতের সাথে প্রতারণা করেছেন।

সহকারী বন সংরক্ষক জিএম আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, লতিফ খান লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে স-মিল চালাচ্ছিলেন। এটি বন্ধের জন্য বনবিভাগ লিখিতভাবে নোটিশ দিলে তিনি ২০১২ সালে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট করেন। সম্প্রতি বিভাগীয় বন সংরক্ষক বরাবরে স্থানীয় বাসিন্দা লুজু খান অভিযোগ করেন রেলওয়ের ভুমিতে স-মিলটি স্থাপিত। মহামান্য হাইকোর্টের রীটে লতিফ খান স-মিলের অবস্থানের যে দাগ, খতিয়ান উল্লেখ করেছেন তা সঠিক নয়। মুলত মহামান্য আদালতকে বিভ্রান্ত করে তিনি অবৈধ স-মিল চালাচ্ছেন। এছাড়া স-মিলটি এলাকাবাসীর, পরিবেশের ও বনবিভাগের ক্ষতি সাধন করছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। তিনি সরেজমিনে দু’জন সার্ভেয়ার নিয়ে এ অভিযোগের তদন্ত করেছেন। ১/২ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবেন। উর্ধতন কর্তপক্ষ এব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

অভিযুক্ত লতিফ খান জানান, তিনি রেলওয়ের কৃষিলীজের ভুমিতে স-মিল স্থাপন করেছেন। বনবিভাগ লাইসেন্স না দেয়ায় হাইকোর্টে রীট করেছেন। রীটে উল্লেখিত দাগ-খতিয়ানেই (খতিয়ান ৩) তার স-মিলটি রয়েছে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews