হিন্দু-মুসলিম মিলেই বাংলাদেশ সম্প্রীতির মডেল-পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কচাকাটায় এসএসবিসি প্রকল্পের আয়োজনে স্থানীয় অংশীদারদের সাথে সংলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা ছাতক পৌরসভার উদ্যোগে দ্বিতীয় মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় ধানের শীষের প্রার্থী শওকতুল ইসলামের সমর্থনে বিশাল শো ডাউন জাতীয় নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট : প্রধান উপদেষ্টা ইউনাইটেড নেশনস-এর কনফারেন্স ও জাতিসংঘে বাংলা ‘ স্মারক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব  ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগি মিথিলা ভোট চাইলেন দেশবাসীর কাছে আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ১৭ নভেম্বর আত্রাইয়ে ইটভাটা বন্ধের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ছাতকে ৯ মাস ধরে নেই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা: সেবাগ্রহীতাদের চরম ভোগান্তি

হিন্দু-মুসলিম মিলেই বাংলাদেশ সম্প্রীতির মডেল-পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন

  • শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

Manual4 Ad Code

বড়লেখা প্রতিনিধি :

Manual4 Ad Code

মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন (পিপিএম-সেবা) বলেছেন, আমরা যত আধুনিক হচ্ছি, ততই হানাহানির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় দেখা যায়, পূজামন্ডপে হাত দেওয়া বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে। অথচ ১৫-২০ বছর আগে এমনটা ছিল না।

তিনি বলেন, আমরা কথায় কথায় বলি ‘মাইনোরিটি গ্রুপ’ বা ‘সংখ্যালঘু’। এই শব্দগুলো সমাজে বিভেদ তৈরি করে। এগুলো আমাদের অভিধান থেকে মুছে ফেলতে হবে। বাংলাদেশে সবাই সমান। তাহলে কেন কাউকে ‘সংখ্যালঘু’ বলে আলাদা করা হবে? যারা এসব শব্দ ব্যবহার করে, তারা কখনও বাংলাদেশের ভালো চায় না। তারা সবসময় ষড়যন্ত্রের জাল বুনে চলে।

Manual7 Ad Code

এসপি জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, একটি রাষ্ট্রে সব ধর্মের মানুষ থাকবে-এটাই স্বাভাবিক। মাইনোরিটি শব্দ ব্যবহার মানে আগে থেকেই কারও মনোবল দুর্বল করে দেওয়া। যারা এ ধরনের কথা বলে, তাদের থেকে দূরে থাকুন। তারা দেশ ও সমাজের মঙ্গল চায় না।

Manual6 Ad Code

তিনি শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বড়লেখা উপজেলার ১৩২টি সার্বজনীন দূর্গাপুজা মন্ডপ কমিটি, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ ও পুজ উদযাপন ঐক্যফ্রন্ট, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বড়লেখা থানা পুলিশ প্রশাসন বড়লেখা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে।

মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অধীক সাহসিকতার সাথে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে আনন্দঘন পরিবেশে দূর্গোৎসব পালন করতে পারেন সে ব্যাপারে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। হিন্দু ভাইদের যাতে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করতে না হয় সেব্যাপারে সবধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার ব্যাপারে কখনও ছাড় দেওয়া হবে না। সবাই তৎপর থাকলে দুষ্কৃতিকারীরা কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রসঙ্গ টেনে পুলিশ সুপার আরো বলেন, এখনও বাংলাদেশের কোনো পাড়া বা মহল্লার কোনো হিন্দু বা মুসলিম যদি একসাথে বসবাস করে, কোনো সমস্যা হলে তারা একে অপরের পাশে দাঁড়ায়, খাবার দেয়। ওষুধ দেয়। কখনও একজন আরেকজনকে ঘৃণা করতে দেখছেন? বিপদে-আপদে একজন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন। আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এখন মডেল। তাহলে কেন আমাদের মাঝে এসব বিভ্রান্তমূলক শব্দ বলে আমাদের বন্ধনটাকে আরও দুর্বল করে দিচ্ছে।

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে উসকানি তৈরির আশঙ্কার কথাও উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, এখন এ.আই দিয়ে পূজামন্ডপে হামলা বা মূর্তি ভাঙচুরের ছবি ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। এরকম ভিডিও দেখলে আগে যাচাই-বাছাই করে নেবেন। তারা এটা নিয়ে আপনাদের ভিতেরর সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চায়। সামাজিক বন্ধন দূর্বল করতে চায়। এই সমস্ত ব্যক্তিরা এবার বেশি সোচ্ছার থাকবে। এই সময় তারা এটা ইউজ করবে। পূজাকে কেন্দ্র করে আপনারা এটা ব্যাপক আকারে দেখতে পারবেন। তারা প্রিপারেশন নিচ্ছে। আমাদের কাছে তথ্য আছে। এরকম প্রোপাগান্ডা দেখলে আগে সত্যতা যাচাই করবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। যারা আপনাদের উল্টো বিশ্বাস করায়, তারা আগেও শান্তি চায়নি। এখনও চায় না। ভবিষ্যতও চাইবে না।

তিনি বলেন, আমাদের মা-বোনেরা যেন নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে পারে, সেজন্য পুলিশ সর্বদা তৎপর থাকবে। যাতে কোনো অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রতিটি থানার ওসিকে যুক্ত করে হায়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হবে। যেকোনো ম্যাসেজ মুহূর্তে পুলিশ সুপারের ফোনে পৌঁছাবে। নাগরিকরা এই গ্রুপের মাধ্যমে সরাসরি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

Manual3 Ad Code

থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠু, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সুরা সদস্য মাওলানা আমিনুল ইসলাম, বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাফিজ, বড়লেখা আর্মি ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার হায়দারুল ইসলাম আকবরী, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ফয়সল আহমদ, বর্নি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, এনসিপির জেলা আহ্বায়ক তামিম আহমদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক যুগান্তর প্রতিনিধি আব্দুর রব, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রনজিত কুমার পাল, পুজা উদযাপন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শৈলেশ চন্দ্র রায়, উপজেলা আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষক তাহের মিয়া প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি সার্বজনীন দূর্গাপুজা মন্ডব কমিটির সভাপতিবৃন্দ, গ্রাম পুলিশ প্রতিনিধি ও আনসার প্রতিনিধি তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code