কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::
কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ত্রিপুরার সাথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। দু’দেশের মালামাল খালাস ও গ্রহনের সু-ব্যবস্থার অভাবে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ১৮৬৩ নম্বর খুঁটি এলাকায় দু’দিকের ট্রাক ও কার্গো রেখে মালামাল খালাস ও গ্রহণ করা হতো। তবে গত ৩ বছর ধরে আমদানি ও রপ্তানিকারকদের দাবির প্রেক্ষিতে গাড়ি পাসের ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়ে গত সোমবার (০৪ এপ্রিল) শমশেরনগর-চাতলাপুর সড়কে স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে প্রথম ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহরে ১ ট্রাক বাংলাদেশী মাছ ও ৫ ট্রাক সিমেন্ট প্রবেশ করেছে।
বাংলাদেশী আমদানি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রোজভ্যালী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক সুব্রত ধর পার্থ ও জেবিএল এন্টারপ্রাইজ এর মালিক রমাপদ সেন জানান, এই সুবিধার পর ভারতীয় পণ্যবাহী গাড়ি বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের পণ্যবাহী গাড়ী ভারতে প্রবেশ করতে পারবে। এতে অনেকটা ভোগান্তির সাশ্রয় হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত মাসেও তারা এ স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ত্রিপুরায় ২৩০ মে.টন বাংলাদেশী মাছ রপ্তানি করেছেন। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গত ১ এপ্রিল কার পাসের অনুমতি দিলেও চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশী সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র পায়নি বলে গত ৪ দিন আমদানি রপ্তানি বন্ধ ছিল। সোমবার সকালে সৈয়দ শরফুদ্দীন ও তার ব্যবসায়ী সহযোগী আসাদুর রহমান সকাল ১১টায় সিলেটে শুল্ক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. রাসেদুল আলমের সাথে দেখা করে মালামালবাহী পরিবহন নিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে না পারার কারণ জানতে চান।
তাদের আলোচনার পর সিলেট শুল্ক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. রাসেদুল আলম চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে কারপাসের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশী পণ্যবাহী পরিবহনকে ভারতে প্রবেশে সহায়তা করার নির্দেশনা দেন। এরপর সোমবার বেলা ৩টায় বাংলাদেশী মাছবাহী একটি ট্রাক ও সিমেন্টবাহী পাঁচটি ট্রাক ভারতের ত্রিপুরার কৈলাশহরে প্রবেশ করে।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা (সুপারেনটেনডেন্ট) আমির হোসেন সরকার এ পথে প্রথম ৬ ট্রাক বাংলাদেশী মালামাল নিয়ে ভারতের ত্রিপুরার কৈলাশহরে প্রবেশ করার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এভাবে আমদানিকৃত ভারতীয় ফলসহ পণ্যও কার পাসের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবে বলেও রাজস্ব কর্মকর্তা জানান।#
Leave a Reply