বড়লেখা প্রতিনিধি :
বড়লেখায় বন্যায় ১০ ইউনিয়নের আড়াই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৩ শধাধিক পরিবার। বানবাসি মানুষের সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়তে থাকায় উপজেলা প্রশাসন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ২৫টি থেকে বাড়িয়ে ৩০ টি করেছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রেই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে বিকেলে জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বন্যা দুর্গত সুজানগর ইউনিয়নের কয়েকটি দুর্গত এলাকা ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। আজিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ছিদ্দেক আলী উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের ১০৫ টি দুর্গত পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের প্রতিটি পরিবারকে চাল, চিড়া, চিনি, মুড়ি, বিস্কিট, মোমবাতি, দিয়াশলাই ও খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শেষে জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম সাংবাদিকদের বলেন, বড়লেখার বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। আমরা দুর্গত কিছু এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি। যারা পানিবন্দি রয়েছেন, আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন, তাদের আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। তাদেরকে শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে। অনেক জায়গায় রান্না করা খাবারও দেওয়া হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারীভাবে তাদের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মেডিক্যাল টিম গঠিত হয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। প্রত্যেকটি আশ্রয় কেন্দ্রে আমরা এগুলো পৌঁছে দিচ্ছি। পানিবন্দীদের জন্য আমরা ৭০ মেট্টিক টন চালের ব্যবস্থা করেছি। পর্যায়ক্রমে চালগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে।
দুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহীনা আক্তার, বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজরাতুন নাঈম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আসলাম সারোয়ার, পিআইও (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান, সুজানগর ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম, প্যানেল চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply