এইবেলা, বড়লেখা ::
বড়লেখা থানা পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামীর বাড়ি থেকে লিপি আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। স্বামীর বাড়ির লোকজনের দাবি লিপি আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু নিহতের মা লতিবা বেগমের অভিযোগ স্বামীসহ শ্বশুড় বাড়ির লোকজন শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর তার গলায় শাড়ী পেছিয়ে ঘরের ভীমের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। শনিবার সকালে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নিহত গৃহবধুর লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার নিজ দক্ষিণভাগ গ্রামের প্রবাসী আনছার আলীর মেয়ে লিপি আক্তারের সাথে প্রায় ৩ মাস আগে চুকারপুঞ্জি গ্রামের প্রবাসী বাবুল মিয়ার ছেলে আব্দুল হানিফের বিয়ে হয়। নিহত গৃহবধুর মা লতিবা বেগম জানান, শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে তার মেয়ে লিপি বেগম তাকে মোবাইল ফোনে বলে গত রাতে তার স্বামী তাকে মারধর করেছে। সে এখানে আর থাকবে না, বাবার বাড়িতে চলে আসবে। তিনি ঠিক আছে আসবে, এখন মোবাইলটি তোমার স্বামীকে দাও, আমি কথা বলি। কিন্তু সে কথা বলেনি। এরপর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জুম্মার নামাজের পর হঠাৎ আব্দুল হানিফ (লিপির স্বামী) ফোনে জানায় আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, তার মেয়ের স্বামী, তার বোন, চাচা-চাচী পরিকল্পিতভাবে গলায় চার্জারের তার পেছিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর গলায় শাড়ী পেছিয়ে ঘরের ভীমের সাথে লিপি বেগমের লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রচারণা চালায়। তিনি মেয়ে হত্যার বিচার চান।
নিহত লিপির স্বামী আব্দুল হানিফ জানান, তার স্ত্রী গলায় শাড়ী পেছিয়ে ভীমের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে এবং এ সময় আপনি কোথায় ছিলেন এমন প্রশ্নের সঠিক জবাব দেননি।
থানার এসআই হযরত আলী জানান, ঝুলন্ত গৃহবধুর লাশ উদ্ধারের পর সুরত হাল প্রতিবেদন তৈরী করেন। গলায় শাড়ী পেছানো ছাড়াও মোবাইল ফোনের চার্জারের তার পেছানোও পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যাই মনে হচ্ছে। তবে পিএম রিপোর্টে হত্যার আলামত উঠে আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply