কমলগঞ্জে কোরবানীর পশুর হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ ছাতকের ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান ফুলবাড়ীতে বিজিবি’র অভিযানে মাদকদ্রব্য ও ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার সহকারি শিক্ষকদের সাটডাউন- বড়লেখায় কক্ষের তালা ভেঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ালেন অভিভাবকরা কুলাউড়ার মুরইছড়া  সীমান্তে  ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের গুলিতে  যুবক নিহত কুলাউড়ায় নাগরিক সমন্বয় প্রকল্পের বার্ষিক টাউন হল মিটিং কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে হবে- ইউএনও মহিউদ্দিন বড়লেখায় প্রধান শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা প্রাক্তন ছাত্র গ্রেফতার

কমলগঞ্জে কোরবানীর পশুর হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ

  • শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০

Manual7 Ad Code

এইবেলা, কমলগঞ্জ ::

Manual4 Ad Code

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পশুরহাটগুলো করোনায় যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দিন দিন করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে আর কোরবানিকে সামনে রেখে হাটগুলো জমে উঠতে শুরু করেছে কোনো রকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই।

হাটগুলোতে মাক্স, হ্যান্ড গ্লাবস ছাড়া ও সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে পশু ক্রয়-বিক্রয়। এতে যেন পশুর হাটগুলো করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খনি ও মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। আবার ল্যাম্পি স্কিন নামক গবাদি পশুর নতুন একটি ভাইরাস সারাদেশের মত মহামারি আকারে ছড়িয়েছে কমলগঞ্জ উপজেলায়। এরপরেও হাটগুলোতে পশুগুলোর কোনোরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই চলছে ক্রয়-বিক্রয়। বাজারগুলোতে নেই কোন পশু রোগ নির্ণয় করার ব্যবস্থা, নেই কোন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পশু ডাক্তার বা পর্যবেক্ষণ টিম। শুক্রবার এমন দৃশ্য দেখা গেছে উপজেলার সর্ববৃহত পশুর হাট আদমপুর বাজারে। কমলগঞ্জ উপজেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৯ জন মানুষ, সুস্থ হয়েছে ৫১জন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। অন্যদিকে উপজেলায় ল্যাম্পি স্কিন ভাইরাসে সহস্রাধিক গবাদি পশু আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০টি গরুর। তবে এখন এ রোগের প্রকোপ নেই বলে দাবী করছে উপজেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগ।

গরু ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, গরুগুলোকে কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বাজারে প্রবেশ করা হচ্ছে। মাক্স বা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা উচিত বলেও মনে করেন তারা। কিন্তু তাও নানা অজুহাত দেখিয়ে মানছেন না কেউ কোনো স্বাস্থ্যবিধি। করোনা ভাইরাসের কারণে ক্রেতা কিছুটা কম হওয়ায় ও গরুর ল্যাম্পিং স্কিন ভাইরাসের কারণে গরুর দাম অনেক কমে গেছে।

হাট ইজারাদার ও স্থানীয় সুধী সমাজের প্রতিনিধি কোন রকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই পশু ক্রয়-বিক্রয় করার কথা স্বীকার করে বলছেন, তারা জনগণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রচারণা করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটরাও হাট-বাজারগুলোতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনাসহ স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে অনেককে জরিমানাও করছেন। কিন্তু তার পরেও জনগণ তা মানছেন না।

Manual1 Ad Code

সরেজমিনে শুক্রবার বিকেলে আদমপুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারের চায়ের দোকানে, সেলুনে, গণপরিবহনে, প্রতিটি অলিগলিতে নেই কোন সামাজিক দ‚রত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি। দোকানে রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। বেশিরভাগ লোক মাস্ক ব্যবহার করছে না। কেউ কেউ মুখে না পড়ে গলায় বা থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখছে। জিজ্ঞাসা করলে দিচ্ছে নানা ধরনের অজুহাত। সিএনজি, অটোরিকশাসহ তিন চাকার গাড়ি আগের মতোই পাঁচজন যাত্রী গাঁ ঘেঁষে বসেই চলছে নিত্য চলাচল। আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থাকলেও সেলুনে যাচ্ছে সবাই। সেখানে বসার আসন আর সরঞ্জামাদি জীবানুমুক্ত না করেই চলছে চুল-দাড়ি কাটা। পাড়া-মহল্লা চায়ের দোকানে চলছে আড্ডা, নাম মাত্র ধুয়ে দেওয়া অন্যের চুমুক দেয়া কাপেই খাচ্ছেন চা।

Manual4 Ad Code

আদমপুর বাজারের এক রিকশাচালক শহীদুল ইসলাম বলেন, সংসারের প্রয়োজনে বের হয়েছি, কিন্তু কাম না করলে খামু কি! নিজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে বের হইলেও বেশি ভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে না। ফলে নিজেও রয়েছি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: হেদায়েত আলী বলেন, কোরবানির গরুর হাটগুলোতে তাদের মেডিকেল টিম কাজ করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা উভয়ে যাতে উপকৃত হয় তার জন্য দু’একদিনের মধ্যে মেডিক্যাল টিম পশুর হাটগুলোতে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হবে। তিনি আরো জানান, কিছুদিন আগে কমলগঞ্জ উপজেলায় ল্যাম্পিং স্কিন ভাইরাসে গবাদি পশু আক্রান্ত হলেও এখন আর এ ভাইরাসটি নেই। গবাদিপশুগুলো সুস্থ আছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক বলেন, আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। একমাত্র ব্যক্তি সচেতনতাই পারে কমলগঞ্জের করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। তারপরেও যতটা সম্ভব সকলে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানদের কেউ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।

Manual5 Ad Code

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা ছাড়া কোন ভাবেই করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। করোনা থেকে বেঁচে থাকার যে কয়েকটি উপায় রয়েছে তার মধ্যে সামাজিক দ‚রত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অন্যতম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!